ডিজিটাল ক্লাসের উপযোগী লো কস্ট প্রজেক্টার বানাল সোনামুখীর স্কুল পড়ুয়া সায়ন, তাকে যাবতীয় সাহায্যে হাত বাড়ালেন জেলাশাসক।

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : নামমাত্র খরচে গ্রাম ও মফস্বলের স্কুল পড়ুয়াদের ডিজিটাল ক্লাসের সুযোগ করে দিতে, সোনামুখীর দ্বাদশ শ্রেণীর স্কুল পড়ুয়া সায়ন চট্টোপাধ্যায় লো কস্ট প্রোজেক্টর বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এই অভিনব আবিষ্কারটিকে আরও উন্নত করে তুলতে, সাহায্যের জন্য আজ সে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়। জেলা শাসক উমা শঙ্কর এস তার এই প্রোজেক্টর দেখে, সেটিকে আরও আপগ্রেডের জন্য আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন এই ক্ষুদে আবিষ্কারক কে উৎসাহিত করার জন্য। পাশাপাশি, এটির আপগ্রেডের পর জেলার কয়েকটি স্কুলে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ব্যবহার করে ফল মিললে, এই ডিভাইসের পেটেন্ট পেতেও সাহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি। সায়নের দাবী, যেখানে ডিজিটাল ক্লাসের সেটআপের জন্য এখন প্রায় লাখ টাকার কাছাকাছি খরচ পড়ে যায়, সেখানে মাত্র ৭ থেকে ১০ হাজারের মধ্যে এই প্রজেক্টারটি মিলবে। আর এতে অডিও,ভিডিও, ছবি বড়ো পরদায় দেখা যাবে নিমেষেই। জেলাশাসক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় নুতন উদ্যমে এই প্রোজেক্টার আপডেটের কাজে আজ থেকেই লেগে পড়ছে সায়ন।
তার মা মল্লিকা দেবী জানান,ছোটো থেকেই ছেলের বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন ছিল। বড়ো হতে টুকিটাকি বানানোর কাজে মন দেয়। এবার এই প্রোজেক্টার বানিয়েছে। আমি খুব খুশী। আর জেলাশাসক মহাশয় যেভাবে ছেলেকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তার জন্য আমরা ওনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
জেলার সোনামুখীর বাসিন্দা সায়ন আজ থেকে বছর সাত আগে তার বাবাকে হারায়। তাই তার এই আবিষ্কার সফল হলে, তা বাবার স্মৃতিতে উৎসর্গ করে, বাবা কে সম্মান জানাতে চায় সায়ন।
বাঁকুড়া২৪X৭এর পক্ষ থেকে সায়নের সফলতার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমাদের আশা সায়নের এই ছোট্ট আবিষ্কার একদিন ডিজিটাল ক্লাসের প্রসার ঘটাবে সারা বাংলা জুড়ে।
#দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇[embed]