সোনামুখী-পাত্রসায়র-ইন্দাস

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও হাসিপুকুর গ্রামে অধরা প্রাথমিক বিদ্যালয়!প্রতিবাদে,বিদ্যাসাগর জয়ন্তীতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।

প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বালসি পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে যায় হাসিপুকুর গ্রামের শিশুরা। আর এই স্কুলে যাতায়াতের পথে পড়ে পাত্রসায়র -বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক। এই সড়কের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনাও ঘটে আকছার।

স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও হাসিপুকুর গ্রামে অধরা প্রাথমিক বিদ্যালয়!প্রতিবাদে,বিদ্যাসাগর জয়ন্তীতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : স্বাধীনতার ৭৬ বছর পরেও গ্রামে অধরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাক্ষরতা আন্দোলন, সবার জন্য শিক্ষা এসব স্লোগান অনেক শুনেছে পাত্রসায়র ব্লকের হাসিপুকুর গ্রামের মানুষ। এমনকি ভোটের মরসুমে গ্রামে স্কুল খোলার গালভরা আশ্বাসও মেলে ডান,বাম,রাম সব পক্ষেরই। কিন্তু বাস্তবে স্কুলের দাবি আর মেটেনা।এমনি করেই স্বাধীনতার ৭৬ টা বছর পার হয়ে গেছে।তাই এবার প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিদ্যাসাগর জয়ন্তীতে, বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের বালসি দুই নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসিপুকুর গ্রামের বাসিন্দারা স্কুলের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন।

এদিন, গ্রামবাসীদের সাথে স্কুল পড়ুয়ারাও যোগ দেয়। তারা জানাচ্ছে,গ্রামে স্কুল না থাকায় প্রায় আড়াই- তিন কিমি দূরে পার্শ্ববর্তী স্কুলে পড়তে যায় তারা।অথচ গ্রামে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টি পরিবারের বসবাস।তবুও স্বাধীনতার পর থেকে গ্রামে কোন প্রাথমিক স্কুল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন গ্রামে প্রাথমিকে স্তরে পড়ার উপযুক্ত এমন ক্ষুদেদের সংখ্যাই প্রায় ৩০০ ছাড়িয়েছে। এখন তারা প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বালসি পশ্চিমপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় পড়াশোনা করতে। আর এই স্কুলে যাতায়াতের পথে পড়ে পাত্রসায়র -বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক। এই সড়কের উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে যাওয়ার সময় ঘটে দুর্ঘটনাও।

গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে বহুবার জানানো স্বত্বেও এই সমস্যা আজও মেটেনি। তাই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে গ্রামে স্কুল স্থাপনের দাবিতে গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে পাত্রসাযর- বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখন। এমনকি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরাও অভিভাবকদের সাথে অবরোধে সামিল হয় এদিন। তাদের দাবি, অবিলম্বে গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় তৈরি করা হোক। আর তা না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার জন্য কোমর বাঁধছেন হাসিপুকুরের বাসিন্দারা। এদিকে, বিক্ষোভের জেরে রাস্তায় আটকে পড়ে বহু যানবাহন। সমস্যায় পড়েন পথ চলতি সাধারণ মানুষজনও।সৃষ্টি হয় যানজটের।

পরে প্রশাসনিক স্তরে আশ্বাস মিললে অবরোধ ওঠে।অন্যদিকে,পাত্রসায়র ব্লকের বিডিও নিবিড় মণ্ডল জানান ,এই প্রথম তিনি জানলেন যে ওই গ্রামে কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তিনি এই সমস্যার কথা এবং সাধারণ মানুষদের বিদ্যালয়ের দাবি তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে।জানাবেন বলেও সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরায় জানান এদিকে, ।দুয়ারে লোকসভা ভোট।তাই এই ভোটের আগে গ্রামে প্রাথমিক স্কুল তৈরি করে সরকার হাসিপুকুরের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাতে পারে কিনা, সেটাই এখন বড়ো প্রশ্ন?

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇


Next Story