'উন্নয়ন শিকেয় উঠেছে'- সোনামুখীতে তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলেরই একাংশ,এই কাজিয়াকে কটাক্ষ বিজেপি বিধায়কের।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এ যেন উলটো পুরান! দলের প্রধানের বিরুদ্ধেই চরম বিক্ষোভ দলেরই নেতা ও কর্মীদের একাংশের৷ বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। তৃণমূল পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুনীল রুইদাসের বিরুদ্ধে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন তারই দলের একাংশ। অভিযোগ, সুনীল বাবু গ্রামের উন্নয়ন শিকেয় তুলে দিয়েছেন।২০২১-২২ অর্থবর্ষে কোন কাজই হয়নি। কাজের টেন্ডার ডাকার পর তা আবার কোন অজানা কারণে বাতিলও হয়ে যায়। প্রধান সুনীল বাবু নাকি চলেন আপন খেয়ালে! দলের কোন মতামতকে আমলই দেন না। মেম্বারদের কথাও শোনেন না। কোন আলোচনা না করেই, নিজেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন। তার ফলে, উন্নয়ন থমকে গেছে গ্রামে।
এই অবস্থায়, প্রধান সুনীল বাবুর শীত ঘুম ভাঙ্গাতেই এই বিক্ষোভ কর্মসুচী। এমনটাই দাবী করেছেন স্থানী তৃণমূল নেতা,কর্মীদের একাংশ।যদিও,প্রধান সুনীল বাবু এই ঘটনার নেপথ্যে তার বিপক্ষ গোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে মনে করছেন। পাশাপাশি,প্রধানের সাফ জবাব, তার আমলে ঢালাও কাজ হয়েছে। রাজনৈতিক জটিলতা আর ঠীকাদারের গাফিলতিতে কিছু কাজ আটকে থাকলেও তার অর্থ এই নয়, যে গ্রামে উন্নয়ন হয়নি। এসব তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলেও অভিমত প্রধান সুনীল রুইদাসের।এদিকে,সামনেই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচন তার আগে এই বিক্ষোভ তৃণমূলকে বিড়ম্বনায় ফেলল বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বোদ্ধারা৷
পাশাপাশি,এই তৃণমূলের স্ব-বিরোধীতা বা বিক্ষোভ বা ডেপুটেশন আসলে মানুষকে ভুল বোঝানোর তৃণমূলী কৌশল বলে কটাক্ষ করেছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘারামি।তিনি বলেন, ইচ্ছে করেই অযোগ্য লোককে প্রধান বানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এখন তা ঢাকতে এই মেকি বিক্ষোভের নাটক চলছে!আজকের এই ঘটনা তৃণমূল বনাম তৃণমূলের লড়াই, না সত্যিই গ্রামে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার প্রচেষ্টা? তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন পূর্ব নবাসনের বাসিন্দারাও। এদিকে,এই ঘটনায় "বিজেপির হাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত ভোটের আগে ইস্যু উপহার হিসেবে তুলে দিল"- বলে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে।
অন্যদিকে, এই বিক্ষোভরত তৃণমূল নেতা, কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবীও তুলছেন দলের অন্য একাংশ। এখন দেখার আজকের এই ঘটনার জল শেষ পর্যন্ত কতদুর গড়ায়? সে দিকেই নজর রইল এলাকার বাসিন্দাদের।
👁️ দেখুন 🎦ভিডিও। 👇