চাষ- আবাদ

হিমঘরে আলু মজুতে অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবীতে, নামা হবে আন্দোলনে , কোতুলপুরে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত।

হিমঘরে আলু মজুতে অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবীতে, নামা হবে আন্দোলনে , কোতুলপুরে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকে সিদ্ধান্ত।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবছর রাজ্যের আলু ব্যবসায়ীরা চরম সঙ্কটে পড়েছেন। এখনই ৫০ কেজির আলুর বস্তা পিছু ৩০০-৩৫০ টাকা লোকসান হচ্ছে তাদের।

এই অবস্থায় রাজ্য সরকার হিমঘরে আলু রাখার সময়সীমা এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ালেও এই মাসের শেষ ১৫ দিন আলু মজুতের জন্য হিমঘর গুলিকে অতিরিক্ত কুইন্টাল প্রতি ১২ টাকা হারে ভাড়া গুনতে হবে আলু ব্যবসায়ীদের। তাই এতে তাদের লোকসানের মাত্রা আরও বেড়ে যাবে।

এই পরিস্থিতির ওপর পর্যালোচনা করে, আন্দোলনে নামার রূপরেখা তৈরী করতে তাই রাজ্যের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তারা আজ কোতুলপুরে বৈঠকে সামিল হন।

এই বৈঠকে ঠিক হয়, ১৫ দিনের জন্য হিমঘরে আলু মজুতের অতিরিক্ত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবীতে তারা সরব হবেন।

পাশাপাশি, আলুর দাম বাড়লে যেমন সরকার হস্তক্ষেপ করে, তেমনি দাম কমলেও সরকারী হস্তক্ষেপে আলু ব্যবসায়ীদের লোকসান ঠেকানোর উপায় বের করতে হবে। এই দাবীও তোলা হয়। এবং,আলু পরিবহনের খরচেও সরকারী ভর্তুকির দাবী তোলা হয়েছে এই বৈঠকে।

অন্যদিকে, রাজ্যের হিমঘর মালিকদের সংগঠনের দাবী, এক মাস সময়সীমা বাড়ানোর ফলে তাদের কুইন্টাল প্রতি অতিরিক্ত খরচ প্রায় ২৫ টাকা বেড়ে গিয়েছে। সেখানে শেষ ১৫ দিনে ১২ টাকা হারে ভাড়া মিললেও তাদের মোটা টাকা লোকসান হবে।

ফলে আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিক দুই পক্ষই লেকসানের ইস্যুতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে, শেষে ধর্মঘটের মতো কড়া প্রতিবাদের পথে হাঁটলে আম বাঙ্গালীর পাতে আলুর টান পড়ারও আশঙ্কা রয়েছে!

এদিকে, সারা রাজ্যে হিমঘর গুলিতে প্রায় ১০ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। যা রাজ্যের চাহিদার নিরীখে এক মাসে শেষ হওয়ার নয়। এক মাত্র উপায়, ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি। তবে তাতেও পরিবহনে ভর্তুকির দাবী করছেন আলু ব্যবসায়ীরা।

সংগঠনের রাজ্য সহ সম্পাদক বিভাষ দে বলেন, এমনিতেই বিগত ৩ বছর ধরে ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে বিন রাজ্যে বাংলার আলুর যে বাজার গড়ে উঠেছিল তা এখন আর নেই। তাই, এই সঙ্কট চরমে দাঁড়িয়েছে। আলুর বন্ডের দামও তলানিতে ঠেকেছে।

তাই,সমস্যা মেটাতে সরকার ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে তারা যে বৃহত্তর আন্দোলন নামতে বাধ্য হবেন তা জানিয়ে দিয়েছেন।

এখন দেখার সরকার কোন পথে হাঁটেন? সেদিকেই নজর সবার।

Next Story