ঝগড়াই দেবীকে তুষ্ট করতে, কাদা 'ছোঁড়াছুঁড়ি'র- অভিনব খেলায় মাতলেন বৈতলের বাসিন্দারা ! #দেখুন ভিডিও।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ঝগড়াই মাতাকে তুষ্ট করতে গ্রামের সাত পুকুর ঘাটের জল, মন্দির প্রাঙ্গনে জমিয়ে, এক ঘাটে করে, সেখানেই চলে কাদা ছোঁড়াছুড়ি!
জয়পুরের বৈতলে বিজয়া দশমীর দিন বিকেল পর্যন্ত এই অভিনব কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির খেলায় মাতেন গ্রামের মানুষ।
কাদার মধ্যে একে অপর কে বেপরোয়া ভাবে চোবানো, আর কাদা জল ছুঁড়ে একে অপরকে ভেজানোয় এই খেলার মূল বৈশিষ্ট্য। যা,স্থানীয় ভাষায়' মাতানি'- নামে অধিক পরিচিত।
কথিত আছে, বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ রঘুনাথ সিংহ জঙ্গলের মধ্যে দেবীর মূর্তি লাভ করেছিলেন। পাথরের তৈরী সেই দেবী মূর্তি তিনিই গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেন।
তারপর, থেকে শারদীয়া দূর্গাপূজোর সময় দেবীর বাৎসরিক পূজে হয়। আর সারা বছর চলে নিত্য পূজো।
এই দেবী ঝগড় ভঞ্জনী নামেও গ্রামে পরিচিত। তিনি, আসলে দেবী দূর্গারই আর এক রূপ বলেই মনে করেন স্থানীয়রা।
গ্রামের মানুষ দূর্গাপূজোর সময় ঝগড়াই মাতার আরাধনায় মাতেন।
এই ঝগড়াই মাতার পূজো প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছরেরও বেশী প্রাচীন বলে মনে করা হয়।
বিজয়ার এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির খেলায় যোগ দিতে আসপাশের গ্রামের লোকেরাও আসেন। ধর্মীয় বিশ্বাস,এদিন এই খেলায় মাতলে দেবীর কৃপায় শরীরের সব রোগ ব্যধি দূর হয়। আর 'অশুভ শক্তি' -সব কাদা জলে বিলীন হয়ে যায়!
তাই, সেই পরম্পরা মেনে আজও বৈতলে কয়েক হাজার মানুষ ভীড় জমান এই ঐতিহ্যশালী কাদা খেলা খেলতে!
তবে, প্রথা মেনে দুপুর থেকে খেলা শুরু হলেও তা চলে বিকেল পর্যন্ত। কারণ, যতক্ষণ না প্রাক্ গোধুলী লগ্নের গোড়ায় পাশের হিজলডিহা গ্রাম থেকে, পালকী চড়ে বক্সী পরিবারের 'কর্তা বাবু'- মায়ের মন্দির প্রাঙ্গনে আসেন, ততক্ষণ ধরে চলে এই কাদার খেল।
তবে, কর্তা বাবু পৌঁছে গেলে তখনই সাঙ্গ হয় এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির বিজয়া যাত্রা!
#দেখুন ভিডিও।
[embed]