পড়াশোনা ২৪X৭

বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলে টিএমসিপির জেলা সভাপতির আপ্ত সহায়ক পরিচয়ে টাকা চেয়ে হুমকি চিঠির নেপথ্যে কে? চিহ্ণিত করতে শুরু তদন্ত।

বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলে   টিএমসিপির জেলা সভাপতির আপ্ত সহায়ক পরিচয়ে টাকা চেয়ে হুমকি চিঠির নেপথ্যে কে? চিহ্ণিত করতে শুরু তদন্ত।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : মেদিনীপুরে একটি কলেজের হুমকি চিঠি মেলার রেশ কাটতে না কাটতে ফের একই বয়ানে লেখা চিঠি আসে বাঁকুড়া শহরের বড়ো কালীতলার বাঁকুড়া গার্লস হাই স্কুলের প্রধাণ শিক্ষিকার কাছে।এই চিঠিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি তীর্থঙ্কর কুন্ডুর আপ্ত সহায়ক পরিচয় দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা চাওয়া হয়। পাশাপাশি,অনাদায়ে ছাত্রীদের প্রকাশ্যে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকী দেওয়া হয়। মোবাইল নাম্বার লিখে বলে দেওয়া হয় যে ২৫ জুনের মধ্যে টাকা মেটাতে হবে৷ বাঁকুড়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক কাঠামো ঢেলে সাজাতেই এই টাকা তোলা হচ্ছে বলেও এই কম্পিউটারে টাইপ করা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।

এদিকে,এই ঘটনার জেরে স্বভাবতই আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে স্কুলের শিক্ষিকা থেকে ছাত্রী দুই মহলেই।বাঁকুড়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে মেদিনীপুরের একটি কলেজের চিঠির ভিত্তিতে তীর্থঙ্কর কুন্ডু থানায় অভিযোগ জানান।এবার বাঁকুড়া গার্লস হাইস্কুলে একেবারে হুবহু বয়ানে ছাপা চিঠি এসে পৌঁছায়।এমনকি গার্লস হাইস্কুলকে চিঠিতে কলেজ হিসেবেই সম্বোধন করা হয়েছে।যার ফলে এই চিঠির লেখকের স্কুল,কলেজের ফারাকের ধারনা নেই কিংবা একই বয়ান ছাপিয়ে তা বিভিন্ন ঠিকানায় পোস্ট করা হচ্ছে এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে৷

এদিকে,এই ঘটনার নেপথ্যে কে? তা প্রকাশ্যে আনতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই চিঠিতে যার নাম ও মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে সেই হরপ্রসাদ বিশ্বাসের খোঁজ পায় পুলিশ। এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়৷ কিন্তু এই চিঠিতে নাম ও মোবাইল নাম্বার দেখে হরপ্রসাদ নিজেও অবাক হয়ে যান।বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর কলোনীর বাসিন্দা। চাষির বাড়ীর বছর ৩৩ এর যুবক।পার্ট টাইম গাড়ী চালানোরও টুকটাক কাজ করে হরপ্রসাদ। সে পুলিশ কে জানিয়েছে তার নাম ও মোবাইল নাম্বার কেও এই চিঠিতে জুড়ে দিয়েছে।

তবে,সে যেই হোক তার পরিচিত হতে পারে, না হলে নাম ও নাম্বার পেল কি করে? এটাও তদন্তের ক্লু। তাই এই সুত্র ধরে পুলিশ এই হুমকি চিঠির নেপথ্যে কে? তা চিহ্ণিত করতে তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, যার নাম এই চিঠিতে যোগ করা হয়েছে সেই ছাত্র নেতা তীর্থঙ্কর কুন্ডুর দাবী,তার ও সংগঠনের ভাবমূরর্তি কালিমালিপ্ত করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীর শাস্তির তুএছেন তিনি।অন্যদিকে,এই ইস্যুতে শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নেমে পড়েছে বিজেপিও।

বিজেপি নেতা দেবাশীষ দত্ত বলেন শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের নেতার নাম এই ঘটনায় জড়িয়ে গেছে,অথচ এখনও অধরা অভিযুক্ত! এটা প্রশাসনের লজ্জা।অন্যদিকে,দুই জেলায় পর পর এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ার পিছনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব না তীর্থঙ্কর কুন্ডুর ব্যক্তিগত ইমেজে দাগ ফেলার জন্য এই হুমকি চিঠি তা নিয়ে চর্চা চলছে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত এই হুমকী চিঠির নেপথ্যে কে?তা জানতে কত দিন সময় লাগে? সেদিকেই নজর রইল সবার।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story