পড়াশোনা ২৪X৭

স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট বিলিতে টাকা আদায়, উত্তাল শহরের পৌর উচ্চ বিদ্যলয়।

স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট বিলিতে টাকা আদায়, উত্তাল শহরের পৌর উচ্চ বিদ্যলয়।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এই স্কুলে নাকি চলে হেড মাস্টারের একুশে আইন। এমন অভিযোগ ছিল আগে থেকেই! তবে,এবার এই একুশে আইন লাগু হওয়া টের পেতেই ছাত্র,ছাত্রীরা প্রতিবাদে জুড়ে দেয় জোর কলরব।আর তার জেরে অবশেষে এই হেড মাস্টার মশাই পালিয়ে বাঁচলেন।বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগান এলাকার বাঁকুড়া পৌর উচ্চ বিদ্যলয়ের এবারের উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ পড়ুয়াদের কাছ থেকে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট বিলির সময় জোর করে জন প্রতি ৫০ টাক্স আদায় করছিল স্কুল। কোন পড়ুয়া তা দিতে অস্বীকার করলে তার সার্টিফিকেট আটকে রাখা হচ্ছিল। এমন তুঘলঘি আচরণের প্রতিবাদ করে কিছু পড়ুয়া টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রধান শিক্ষক ও আশিক্ষক কর্মীদের সাথে পড়ুয়াদের বচসা বাঁধে।

এবং সংবাদ মাধ্যম স্কুলে হাজির হতেই প্রধান শিক্ষক সাধন ঘোষ নিজে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন ।অবশেষে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এই অন্যায় ভাবে আদায় করা টাকা পড়ুয়াদের ফেরৎ দেওয়ার আশ্বাস দিলে পড়ুয়ারা শান্ত হয়ে যায় এবং এই টাকা তোলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ।প্রধান শিক্ষকের দাবী, স্কুলের অশিক্ষক কর্মীরা মিষ্টি খাবার জন্য আবদার করে এই টাকা তুলছিলেন। কাওকে চাপ দিয়ে টাকা তোলা হচ্ছিল এই অভিযোগ ঠিক নয়। তবে, অন্যায় হোক আর আবদারই হোক, এভাবে বিনা রসিদে ও সরকারি নির্দেশ ছাড়া টাকা তোলা পুরোপুরি অবৈধ এবং এর জন্য প্রধান শিক্ষক তার দায় এড়াতে পারেন না।

কিন্তু, এখন তিনি তার দায় এড়াতে উঠে পড়ে লেগেছেন। এখন দেখার এই ঘটনার পর জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তর কি ব্যবস্থা নেয় এই স্কুল তথা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে? সেদিকেই নজর রইল সবার।

👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story