জেলায় ঘাটি গেড়েছে ৪৫ টি হাতি,জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতায়াতের দায়িত্ব নিল বনদপ্তর।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : দলমার দামালদের দাদাগিরি চরমে! দু - দশটা নয় এখন জেলার বড়জোড়া,বেলিয়াতোড় এবং পাঞ্চেৎ বনবিভাগ মিলিয়ে ৪৫ টি হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে জঙ্গল লাগোয়া এই সব এলাকার গ্রামগুলি থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে প্রতিদিন মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং পরীক্ষা শেষে নিরাপদে ফের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সামাল দেবে বন দপ্তর। আজ মাধ্যমিকের প্রথম দিন থেকেই এই কাজ শুরু করল বন দপ্তর। পুরো প্রক্রিয়া সফল ভাবে রূপায়নের জন্য বাঁকুড়া এসে পৌঁছান বনদপ্তরের মুখ্য বনপাল (কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলানডাইভেল।
তিনি বলেন,হুলাপার্টি, ঐরাবত গাড়ী নিয়ে জঙ্গল এলাকায় এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষকেন্দ্রে যাতায়াতের দায়িত্ব পালন করছে বন দপ্তর। রাজ্য সরকারের নির্দেশে বন দপ্তর প্রায় ৪০ টি গাড়ী ভাড়া করে এই কাজ করছে।পাশাপাশি বন দপ্তরের নিজস্ব ১০ টি গাড়ীও ব্যবহার করা হয়েছে।অন্তত পক্ষে ৬০ টি গ্রামের পরীক্ষার্থীদের ২৩ টি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া এবং তাদের বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব ভার নিয়েছে বনদপ্তর। মুলত বাঁকুড়া উত্তর বন বিভাগের বড়জোড়া ও বেলিয়াতোড়েই রয়েছে হাতি কবলিত সিংহভাগ মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্র। বন দপ্তরের সাথে এই কাজে যোগ দিয়েছে পুলিশও।
এদিকে,মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন গুলিতে নিরাপদে পরীক্ষকেন্দ্রে বন দপ্তর তাদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করায় বন দপ্তরকে কুর্ণিশ জানিয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা।এবার,সকাল,সকাল পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌছে যেতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। তাই দিনের আলো ফোটা মাত্র বন দপ্তর ইন্টেন্স স্ক্যানিং করে জেনে নিচ্ছে কোথায় কতগুলি হাতি আছে।লেটেস্ট হাতির অবস্থান দেখে সেই মতো এসকর্ট করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকেও একই ভাবে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে বন দপ্তর সুত্রে জানানো হয়েছে।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও 👇