মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

হনুমানের আক্রমণে জিঘাটিতে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, ঘুমপাড়ানি গুলির পর খাঁচা বন্দি হনুমান।

হনুমানের আক্রমণে জিঘাটিতে মৃত্যু প্রৌঢ়ের, ঘুমপাড়ানি গুলির পর খাঁচা বন্দি হনুমান।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন ( দিব্যেন্দু গোস্বামী,গঙ্গাজলঘাটি) :-

বাড়ী থেকে পাউরুটি কিনতে বেরিয়ে এক দলছুট হনুমানের আক্রমণে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলাএ গঙ্গাজলঘাটি থানার লালপুর গ্রামে। মৃতের নাম কানাইলাল কুন্ডু (৮২)।এক্স কানাইলাল বাবু বাড়ীর কাছে একটি দোকানে পাউরুটি কিনতে গিয়েছিলেন।আচমকা দলছুট হনুমানটি তার গা গেষে দাঁড়ায়।সেই সময় তিনি হনুমানটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে হনুমানটি তার বাঁ পায়ের গোড়ালির কাছে সজোরে কামড় বসায়।কামড়ের তীব্রতা এত বেশী ছিল যে পায়ের শিরা কেটে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে৷ স্থানীয়রা চিৎকার জুড়লে হনুমানটি দৌড়ে পালায়। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ও বন দপ্তরের আধিকারিক ও কর্মীরা পৌঁছে যান লালপুর গ্রামে।

এরপর তড়িঘড়ি কানাইলাল বাবুকে উদ্ধার করে অমরকানন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এবং বলেন অধিক মাত্রায় রক্ত ক্ষরণের জেরেই প্রান হারিয়েছেন এই প্রৌঢ়। পাশাপাশি বন দপ্তরের মেজিয়ার রেঞ্জ অফিসার দুর্গাদাস হাঁসদার নেতৃত্বে ১১ জনের একটি টিম গ্রামে গিয়ে হনুমানটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে খাঁচা বন্দি করে। এই হনুমানটির মাথায় রঙ লেগে থাকায় তাকে দলছুট করে দেয় অন্যান্য হনুমানেরা। দলে মেশার চেষ্টা করলেই বাকিদের সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হত৷ এদিনও ঝগড়াঝাটি চরমে ওঠে৷ এর ফলে উত্তেজিত ছিক দল ছুট হনুমানটি। তাই প্রৌঢ় তাকে তাড়াতে গেলে রেগে পায়ে কামড় বসিয়ে দেয়। এবং তার ফলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে প্রান হারান তিনি।

এদিকে,গ্রামে হনুমানের আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম।ফলে গ্রাম জুড়ে হনু - আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তবে দলছুট হনুমানটিকে খাঁচা বন্দি করার পাশাপাশি বাকি দল হনুমানের গতিবিধির ওপর বন দপ্তরের নজরদারি চলছে। বাঁকুড়া উত্তর বনবিভাগের ডিএফও কল্যাণ রাই জানিয়েছেন বন দপ্তরের নিয়ম মাফিক মৃতের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে। এবং ঘুম পাড়ানি গুলি করে খাঁচা বন্দি হনুমানটিকে কোন গভীর জঙ্গল্ব ছেড়ে দেওয়া হবে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story