মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভের ফান্ডাকে পুঁজি করেই চলত ভুয়ো ডাক্তারি!পুলিশের জেরায় স্বীকার ধৃত সুদীপ্তের।

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এক সময় একটি ভারতীয় বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেছিলেন। তখন ডাক্তারদের মোটা টাকা রোজগারের বহর দেখে নিজেকে ডাক্তারি পেশায় যুক্ত করার মতলব এঁটেছিল ভুয়ো ডাক্তার হিসেবে অভিযুক্ত সুদীপ্ত সর্দার। কিন্তু কি ভাবে শুরু করা যাবে? ডাক্তারি করতে হলে রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার দরকার, আবার অন্যের রেজিষ্ট্রেশন ব্যবহার করতে হলে নাম একই না হলে সহজে ধরা পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। এসব সমস্যা মেটাতে নিজের নাম ও টাইটেলের সাথে হুবহু মিল আছে এমন চিকিৎসকের খোঁজ শুরু করে সে। আর মেডিক্যাল রিপ্রেজেনটেটিভ হওয়ার সুবাদে ডক্টর লিস্ট তার হাতের মুঠোয় ছিল। ফলে, মুহূর্তেই তার নামের সাথে মিল আছে এমন চিকিৎসক খুঁজেও নেয়।সুদীপ্ত।
আবার,ঘটনাচক্রে সেই চিকিৎসকও দক্ষিণ২৪ পরগনার বারুইপুরের বাসিন্দা এবং ধৃত সুদীপ্ত সর্দারের বাড়িও বারুইপুরে। আসল চিকিৎক সুদীপ্ত বাবুর রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করেই প্রায় বছর তিনেক আগে ভুয়ো ডাক্তারির কারবার শুরু করে সে। বিকম পাশ বছর ৩৬ এর সুদীপ্ত এর আগে বছর ৫ মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ হিসেবে কাজ করেছেন।
আর সেই ফান্ডাকে কাজে লাগিয়ে ২০১৯ থেকে হাওড়ার বালিতে একটি ক্লিনিকে এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় চুটিয়ে চিকিৎসা করতেন।তিনি। এবং এভাবে ভুয়ো ডাক্তারি করে প্রচুর টাকা রোজগারও করেছেন। হাওড়ায় একটি রোগীর মৃত্যুর ঘটনার জেরেই তার ভুয়ো ডাক্তারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। যে সুদীপ্ত সর্দারের রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে ভুয়ো ডাক্তারি চলত সেই চিকিৎসক ডঃ সুদীপ্ত সর্দার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কর্মরত।
হাওড়ার একটি রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃতের পরিবারের লোকজন তার বড়ীতেও যান। তখন তিনি ধরে ফেলেন তার নাম ও রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে কেও ভুয়ো ডাক্তারি করছেন! পাশাপাশি, তার কাছে ফোন করেও অনেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে থাকেন। তখন বাধ্য হয়ে তিনি বড়জোড়া থানায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর বড়জোড়া থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে তার মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকশন ট্রাক করে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ থেকে সোমবার ভুয়ো চিকিৎসক সুদীপ্ত সর্দারকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তাকে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে ধৃতকে বাঁকুড়া নিয়ে আসা হয়। আজ তাকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। ধৃতের বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ এজাধিক ধারায় রুজু হয়েছে মামলা।
এদিকে, হাওড়ার বালি থেকে এই ধৃত ভুয়ো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রচুর রোগীর ভুল চিকিৎসা এমনকি রোগী মৃতুর ঘটনার অভিযোগও পুলিশের নজরে এসেছে। পুলিশ হেফাজতে তাকে এই সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদও করা হবে বলে জান গেছে।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇