গজ বাহিনীর হানা থেকে ফসল বাঁচাতে "গজলক্ষ্মী"র আরাধনা রামকানালী গ্রামের বাসিন্দাদের।
এবার ১২৩ বছরে পড়ল গজলক্ষ্মীর আরাধনা। কথিত আছে,পুর্ব পুরুষেরা গ্রামে হাতির হানায় ফসল ও ঘর,বাড়ী এমন কি নিজেদেরকে বাঁচাতেই এই গজলক্ষ্মীর আরাধনার প্রচলন করেন গঙ্গাজলঘাটির রামকানালী গ্রামের বাসিন্দারা।এখানে দেবী লক্ষ্মী গজের পিঠে বিরাজমান। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস এই দেবী তুষ্ট হলেই হাতীর হানা থেকে রক্ষা পাবে পুরো গ্রাম।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জেলায় দলমার দামালদের আনাগোনা ছিল আজ থেকে একশো বছর আগেও। তারই প্রমাণ মেলে জেলার গঙ্গাজলঘাটির রামকানালী গ্রামের গজলক্ষ্মীর আরাধনায়। এই গ্রামে আজ থেকে প্রায় ১২৩ বছর আগে হাতির তান্ডব থেকে জমির ধান,মাঠের ফসল,ঘর বাড়ী এমন কি নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের পূর্ব পুরুষেরা প্রচলণ করেন দেবী গজলক্ষ্মীর পুজোর। এখানে দেবী লক্ষ্মী 'গজ- অর্থাৎ হাতির পিঠে অধিষ্ঠাত্রী। দুই দিকে দুই সখী বেষ্টন করে আছেন দেবী প্রতিমাকে। আর একচালার প্রতিমার ওপরে দুই পাশে থাকে দুই ময়ূর। এই অভিনব আদলে তৈরি লক্ষ্মী প্রতিমাই এই গ্রামে পূজিত হয়ে আসছেন।
কথিত আছে, এক সময় এই রামকানালী গ্রামে হাতির উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। তখন গজ বাহিনীর হামলার হাত থেকে রেহাই পেতে এই গজলক্ষীর আরাধনা শুরু করেন তারা।
এই গ্রামের মানুষ জনের বিশ্বাস, আজও গ্রামে হাতির হানা থেকে শস্য বাঁচাতে হলে এই দেবীর কৃপা লাভ করতেই হবে। নইলেই ঘটবে বিপত্তি।
তাই প্রায় ১২৩ বছর ধরে পুর্ব পুরুষের ধারা মেনে নিষ্ঠার সাথে কোজাগরী পূর্ণিমায় ফি বছর দেবী গজলক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করে আসছেন রামকানালী গ্রামের বাসিন্দারা। এবার কোভিড আবহে জাঁক জমক ও ভীড় খানিক কম হলেও দেবী গজলক্ষ্মীর পুজো ধর্মীয় উপাচার মেনে যথারিতি পালিত হচ্ছে।
দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇