মেজিয়া-বড়জোড়া শিল্পাঞ্চল

বিধায়ক চন্দনা বাউরির দ্বিতীয় বিয়ে সংক্রান্ত এফআইআরের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের।

বিধায়ক চন্দনা বাউরির দ্বিতীয় বিয়ে সংক্রান্ত এফআইআরের ওপর ৮ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : অবশেষে হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি মিলল বিধায়ক চন্দনা বাউরির। তার দ্বিতীয় বিয়ে সংক্রান্ত দায়ের হওয়া এফআইআরের ওপর আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।পাশাপাশি,বিচারপতি প্রশ্নও তোলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মামলায় আদৌ পুলিশ কি পদক্ষেপ করতে পারে? তিনি বলেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত করতে পারে না পুলিশ। একই সাথে তিনি নির্দেশ দেন এই এফআইআরের ভিত্তিতে চন্দনার বিরুদ্ধে কোন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। পরবর্তীকালে এই বিষয়ে রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। ততদিন অর্থাৎ আট সপ্তাহের অন্তবর্তী স্থগিতাদেশও দেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, চন্দনা দেবী তার গাড়ীর চালক ও স্থানীয় বিজেপি নেতা কৃষ্ণ কুন্ডুকে বিয়ে করেছেন এই অভিযোগ তুলে চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর স্ত্রী রূম্পা দেবী গঙ্গাজলঘাটি থানায় চন্দনা ও স্বামী কৃষ্ণ কুন্ডুর নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

যার ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ অর্থাৎ বধু নির্যাতন,৪৯৪ অর্থাৎ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক এবং ৫০৬ অর্থাৎ হুমকী প্রদর্শন এই নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করে। সেই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে বিধায়ক চন্দনা বাউরি বাঁকুড়া জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে বিচারক তাকে বারাসতে সাংসদ ও বিধায়কদের জন্য যে বিশেষ আদালত আছে সেখানে জামিনের আবেদন করার নির্দেশ দেন। এর পরই তিনি তার বিরুদ্ধে করা এফআইআর খারিজের জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শুক্রবার তার আবেদনের শুনানি হলে বিচারক তাকে অন্তর্বতী আট সপ্তাহের রক্ষাকবচ অর্থাৎ এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। এদিকে,চন্দনা দেবীর হাইকোর্টের আইনজীবী সোমনাথ অধিকারী জানান,তার মক্কেলের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে। যার কোন ভিত্তি নেই।

পুলিশ তার বিরুদ্ধে ৪৯৮,৪৯৪,৪০৬,৫০৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করে। এবং পুলিশ তার ভিত্তিতে ৪১ এ নোটিশও পাঠায়। চন্দনা দেবী বিচারের জন্য মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবং বিচারপতি সমস্ত বিষয়টি শোনার পর এই এফআইআরের ওপর আট সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ দেন।



Next Story