নিধিরামপুরে বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত তিনজনের তিন দিনের পুলিশ হেপাজত।
প্রতিবেশী সোনালী মিশ্রের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল দীপুর।গত ৩১ শে অক্টোবর রাতে দীপু ও সোনালী দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। যদিও পরের দিন স্বামীর কাছে ফিরে আসেন সোনালি দেবী।তারপর থেকেই দীপুকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে সোনালীর স্বামী।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : নিধিরামপুরে বিজেপি নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় ধৃত তিনজনের তিন দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিল বাঁকুড়া জেলা আদালত। ধৃত তিন জনের বিরুদ্ধে খুন সহ রকাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। গঙ্গাজলঘাটি থানার পুলিশ আজ ধৃত তিন জনকে আদালতে তোলে। ধৃতদের মধ্যে সোনলী মিশ্র নামে এক মহিলাও রয়েছেন।এছাড়া বাকি দুজন হলেন দেবব্রত মিশ্র ও অন্তু মিশ্র।প্রসঙ্গত,স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটের বিজেপি প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর ঝুলন্ত মৃতদেহ গ্রামের একটি গাছ থেকে উদ্ধার হয়।তার দুই হাতও বাঁধা ছিল।
মৃতদেহ উদ্ধারের পর দীপুর পরিবার প্রতিবেশী এক গৃহবধু ও তার স্বামী এবং আরও কয়েকজনের নামে দীপুকে খুনের অভিযোগে থণায় অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই এই তিনজনকে মৃতদেহ উদ্ধারের দিনই আটক করে। এবং গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে তোলা হয়।পুলিশ জানিয়েছে,দীপুরপরিবার সোনালী মিশ্রে এবং তার স্বামী দেবব্রত ওরফে সন্তু মিশ্র সহ পরিবারের আরও চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবং জানাগেছে,মৃতের প্রতিবেশী শ্রীমতি সোনালী মিশ্রের সাথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সম্পর্ক ছিল দীপুর।পুলিশের তদন্তেও এই তথ্য উঠে এসেছে।
গত ৩১ শে অক্টোবর রাতে দীপু ও সোনালী দুজনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। যদিও পরের দিন স্বামীর কাছে ফিরে আসেন সোনালি দেবী। এরপর সোনালীর স্বামী ও পরিবারের অন্যন্য সদস্যরা দীপুকে হত্যার হুমকি দেয়। তাই দীপুর পরিবারের সন্দেহ যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ষড়যন্ত্র করে দীপুকে হত্যা করে গাছ ঝুলিয়ে দিয়েছে। এদিকে,বিজেপি দীপু হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক তাত্ত্ব খাড়া করে এই মৃত্যুর ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবী তুলেছেন। আজ গ্রামে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী এবং সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇