মায়ের বাড়ী জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা,আপ্লুত সৌমিত্রের সংসদে রেলমন্ত্রীকে বাংলায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন।
আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে বিষ্ণুপুর - তারকেশ্বর রেল পথের ঘোষণা করে ছিলেন তৎকালীন রেল মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ২০০০- ২০০১ অর্থবর্ষে ছাড়পত্র পাওয়া এই প্রকল্প অবশেষে বাস্তব রূপ পেল।

বাঁকুড়া২৪x৭ প্রতিবেদন : মায়ের বাড়ি জয়রামবাটিতে গড়াল রেলের চাকা। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে বিষ্ণুপুর - তারকেশ্বর রেল পথের ঘোষণা করে ছিলেন তৎকালীন রেল মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ২০০০- ২০০১ অর্থবর্ষে ছাড়পত্র পাওয়া এই প্রকল্প অবশেষে বাস্তব রূপ পেল। আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ জয়রামবাটিতে কমিশন অফ রেলওয়ে সেফটির বিশেষ ট্রেন পৌঁছাতেই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।এই ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকতে জয়রামবাটি স্টেশনে হাজির ছিলেন মঠের সন্ন্যাসীরাও। এদিকে,আজ এই রেলের চাকা গড়ানোর খবরে আপ্লুত বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁও।তিনি এদিন সংসদে বাংলা ভাষায় রেল মন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনও করেন। একই সাথে তিনি এই রেলপথ তৈরির জন্য জমিদাতাদেরও ধন্যবাদ দেন।
সৌমিত্র বাবু বলেন আন্দোলন,বাধা এসবকে আমল না দিয়ে যে ভাবে স্বেচ্ছায় জমি দানে বিষ্ণুপুর বাসীরা এগিয়ে এসেছেন,তা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এবার যত শীঘ্র সম্ভব এই পথে ট্রেন চলচল শুরু করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেল চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। সৌমিত্র বাবু জানান,এই প্রকল্পের জন্য রেল মন্ত্রকে ৪৩ বার চিঠি দিয়েছেন তিনি।এবং ২৬ বার নিজে সরাসরি রেল মন্ত্রীদের সাথে বিভিন্ন সময়ে দেখা করে দ্রুত এই রেল পথ চালুর জন্য দাবি জানিয়েছিলেন।অবশেষে, আজ সেই দাবি পুরণ হতে চলেছে।এদিন,প্রচুর মানুষ জয়রামবাটি স্টেশনে ভীড় করেন এই ঐতিহাসিক মুহুর্তের সাক্ষী থাকার জন্য। সবাই চান এবার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু করুক রেল কতৃপক্ষ।
এই রেলপথ চলু হয়ে গেলে মায়ের বাড়ি জয়রামবাটির সাথে যোগাযোগ আরও উন্নত হবে তা,বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরের সাথেও যুক্ত হবে তারকেশ্বর।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇