মল্লভুম বিষ্ণুপুর

বিষ্ণুপুর পুরসভার তছরুপ কান্ডে নয়া মোড়, শ্যামের পিএ এর লকার থেকে উদ্ধার তিন কেজি সোনা।

বিষ্ণুপুর পুরসভার তছরুপ কান্ডে নয়া মোড়, শ্যামের পিএ এর লকার থেকে উদ্ধার তিন কেজি সোনা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিষ্ণুপুর পুরসভার ১০ কোটি টাকা তছরুপ কান্ডের তদন্তে নেমে মুল প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রিয়ভাজন এবং একদা তার ব্যাক্তিগত সহায়ক হিসেবে পরিচিত রামশঙ্কর মহান্তির লকার থেকে উদ্ধার হল প্রায় তিন কেজি সোনা।


যার বাজার মুল্য আনুমানিক দেড় কোটি টাকা। রামশঙ্করকে এদিন সাথে নিয়ে বিষ্ণুপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের শাখায় যায় পুলিশের তদন্তকারি দল। এবং তার লকার খুলতেই বেরিয়ে আসে গচ্ছিত রাখা প্রচুর সোনাদানা। সোনার গয়না,সোনার বাঁট ও সোনার বিস্কুট ওজন করলে তা তিন কেজি ছাড়িয়ে যায়। এই বিশাল টাকার সোনাদানা সবই শ্যামবাবুই গচ্ছিত রাখতে দিয়েছেন বলে স্বীকারও করেন রামশঙ্কর।

প্রসঙ্গত এই তছরুপ মামলায় ২২ আগষ্ট গ্রেপ্তার হন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি এখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিচারবিভাগীয় হেপাজতলতে আছেন। এরপর শ্যামবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন এক ওভারসীয়ার দিলীপ গরাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং গ্রেপ্তার করা হয় রামশঙ্কর মহান্তিকে। রামশঙ্করকে জেরা করেই এই লকারের হদিস মেলে। এর আগে বিষ্ণুপুর জুড়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মেলে। তার পরই শুক্রবার এই লকার থেকে তিন কেজি সোনা উদ্ধার এই মামলার তদন্তে নয়া মোড় তা বলাই বাহুল্য। তবে এরপরও নামে,বেনামে শ্যাম বাবুর প্রচুর সম্পত্তি, সোনাদানা, টাকা গচ্ছিত আছে বলেই মনে করছে পুলিশ। সেই মতো তদন্তও চলানো হবে। দেখা যাক শেষ অবধি শ্যামবাবুর গুপ্তধনের উদ্ধারের পরিমাণ কী দাঁড়ায়? সেদিকেই তাকিয়ে আছেন মল্লভূমবাসীরাও।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও 👇


Next Story