মল্লভুম বিষ্ণুপুর

রাতের অন্ধকারে গুরুপদ'র স্টুডিওতে চলত নোট ছাপার কাজ,টের পাননি পরিবারের সদস্যরাও।

রাতের অন্ধকারে গুরুপদর স্টুডিওতে চলত নোট ছাপার কাজ,টের পাননি পরিবারের সদস্যরাও।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : পরিবারের সদস্য থেকে পড়শী কেও কোনোদিন টেরই পান নি গুরপদ'র গুপ্ত গুণের! তাদের দাবী, রাতের অন্ধকারে তার স্টুডিওতেই ঝপাঝপ ছাপা হত জাল নোট।শুধু ৫০০ টাকাই নয়,২০০,১০০,৫০ এমনকি ২০ টাকার নোটও ছাপতো সে। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পুর শহরের সত্যজিত সরনিতে বাড়ী লাগোয়া গুরুপদ আচার্য এর স্টুডিওটিই কার্যত জাল নোটের ছাপাখানায় পরিণত হয়। এখানেই তিনি দীর্ঘ দিন ধরে এই জাল নোট ছাপার কারবার চালিয়ে আসছেন গুণধর গুরুপদ।

তার এই স্টুডিও থেকে উদ্ধার প্রায় ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট উদ্ধার করে পুলিশ।এই উদ্ধার হওয়া নোট গুলি এক পলকে দেখলে আসলের সাথে ফারাক করাও মুশকিল।প্রসঙ্গত, বুধবার জয়পুরের গোপালনগর গ্রামে জাল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে খেলনা কিনতে গেলে স্থানীয় মানুষ জনের সন্দেহ হলে তাকে আটকে রাখে এবং কথায় অসংগতি মেলায় তাকে বেধড়ক মারা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।

তার আঘাত গুরুতর বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে। ফলে অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত পুলিশও গুরুপদ বাবুকে জিজ্ঞাবাদ করতে পারছেন না। তবে, গুরুপদ বাবুর ছোটো ছেলে কে পুলিশ বিষ্ণুপুর থানায় ঢেকে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে, সুত্রের খবর।পুলিশ এখন গুরুপদ বাবুর সাথে কাদের বেশী ঘনিষ্টতা ছিল।কোথায়,কোথায় আড্ডা দিতেন।কাদের সাথে মিশতেন এসব খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি, গুরুপদ বাবুর সাথে কোন বড়ো মাপের নোট জালিয়াতি সিন্ডিকেটের যোগ আছে কিনা?তা, খতিয়ে দেখছে।

এছাড়া, তার জাল নোট ছাপার কাগজের কোয়ালিটি এবং তা বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের থেকে চোরা পথে ঢোকা কারেন্সি পেপার কিনা তাও খতিয়ে দেখছে। গুরুপদ বাবুর জাল নোটের ছাপাখানায় কোন আন্তর্জাতিক জাল নোট চক্রের যোগ আছে? না তিনি,নিজেই নিজের মতো সহজলভ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোটা টাকা আয়ের পথ হিসেবে এটাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে? এখন দেখার পুলিশের তদন্তে শেষ পর্যন্ত কোন,কোন তথ্য প্রকাশ্যে আসে।সেদিকেই তাকিয়ে বিষ্ণুপুর বাসী।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story