মল্লভুম বিষ্ণুপুর

পিএ রামশঙ্করের লকারে শ্যামাপ্রসাদের গচ্ছিত প্রচুর অলংকারের হদিস,৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত শ্যামাপ্রসাদের।

পিএ রামশঙ্করের লকারে শ্যামাপ্রসাদের গচ্ছিত প্রচুর অলংকারের হদিস,৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত শ্যামাপ্রসাদের।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিষ্ণুপুর পুরসভার ১০ কোটি টাকা তছরুপ কান্ডের তদন্তে নয়া মোড়। এই তছরুপ কান্ডের মাস্টার মাইন্ড রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রাক্তন পৌর প্রধান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সম্পতির খোঁজ করতে গিয়ে, শ্যামাপ্রসাদের পিএ রামশঙ্কর মহান্তিকে ম্যারাথন জেরায় উঠে এল রামশঙ্করের লকারে শ্যামা প্রসাদের প্রচুর সোনার অলংকার গচ্ছিত রাখার ঘটনা। পুলিশের জেরায় ভেঙ্গে পড়ে এই ঘটনা কবুল করেন শ্যাম ঘনিষ্ট রামশঙ্কর। জানা যাচ্ছে,বিষ্ণুপুরের একটি রাষ্টায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের লকারে এই অলংকার গচ্ছিত রাখতে দিয়েছিলেন শ্যাম বাবু। রামশঙ্কর জেরায় স্বীকার করে,এই লকারের সিংহভাগ গয়না শ্যাম বাবু জমা রাখতে দিয়েছিলেন।

এখন পুলিশ এই লকারে গচ্ছিত অলংকারের পরিমাণ ও বজার মুল্য কত হতে পারে তা খতিয়ে দেখবে বলে সূত্রের খবর।পাশাপাশি, আর অন্যন্য ব্যঙ্কেও লকার আছে কিনা? বা রামশঙ্করের কোন নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমেও গয়না বা টাকা গচ্ছিত রাখা আছে কিনা? তারও খোঁজ,খবর করছেন তদন্তকারী অফিসাররা।


এদিকে,দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের পুলিশ হেপাজতের মেয়াদ শেষে, আজ রবিবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে। পুলিশ হেপাজতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় শনিবার বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। কিছু শারীরিক পরীক্ষা,নিরীক্ষার পর রবিবার ছুটিও দিয়ে দেওয়া হয় শ্যাম বাবুকে।

তার পরই আদালতে তোলা হয় এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে। আদালত সুত্রে জানা গেছে, এদিন শ্যাম বাবুর জামিন নাকচ করে আদালত এবং আগামী ৯ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাকে বিচার বিভাগীয় হেপাজত অর্থাৎ জেল হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত,গত ২২ শে আগষ্ট এই ১০ কোটি টাকা তছরুপ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শ্যামাপ্রসাদকে। তার পর গত মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর পুরসভার এক প্রাক্তন ওভারসীয়ার দিলীপ গরাই কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং গত শুক্রবার শ্যামাপ্রসাদের পিএ এবং বিষ্ণুপুর পুরসভার ওএসডি রামশঙ্কর মহান্তিকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জেরা করেই তদন্তকারীদের কাছে একে,একে এই কান্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসে।

এর আগে শ্যামাপ্রসাদের নিজের নামে থাকা ৬ টি ব্যঙ্ক একাউন্ট ফ্রিজ করেছে পুলিশ। সেগুলোয় মোটা টাকার হদিস মিলেছে। এরপর তার পিএ'র লকারে শ্যামের গচ্ছিত প্রচুর পরিমাণ সোনার গয়নার হদিশ মেলায় এই মামলায় এখন তদন্তকারীরা রামশঙ্করকেই পাখির চোখ করে এই তছরুপ কান্ডের কিনারা করতে উঠেপড়ে লেগেছেন তা বলাই বাহুল্য।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇





Next Story