বাঁকুড়ার ৩ শিশু মৃত্যুর আঁচ এবার দিল্লিতে,তৃণমূলের ধর্ণায় যোগ দিচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।
সাংসদ শান্তনু সেন মৃত ৩ শিশুর পরিবারের চার জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। জানা গিয়েছে,তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে দিল্লি রওনা দিয়েছেন মৃত ৩ শিশু রোহন,অঙ্কুশ ও নিশার বাবা জয়দেব সর্দার,চণ্ডি সর্দার ও প্রশান্ত সর্দার। এবং নিশার জেঠু ভক্ত সর্দার।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে হাতিয়ার করে এবার কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখার প্রতিবাদ আন্দোলন আরও জোরদার করার কৌশল নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকা স্বত্বেও কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় এই মৃত তিন শিশুর পরিবারের কাঁচা ঘর আর পাকা হয়নি।ফলে বৃষ্টির জেরে মাটির দেওয়াল ভেঙ্গে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন শিশুর। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর মহকুমার বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়ামারা গ্রামের এই দুর্ঘটনাকে এবার জাতীয় স্তরে ইস্যু করে কেন্দ্রের রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়নতাকে জাতীয় স্তরে তুলে ধরবে তৃণমূল।
আবাস যোজনায় বাড়ি না মেলায় কিভাবে তিনটি শিশুর প্রাণ অকালে ঝরে গেল সেই ঘটনাকে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এবং জাতীয়স্তরে সংবাদ মাধ্যমের নজরে আনতে বড়ামারা গ্রাম থেকে মৃত তিন শিশুর পরিবারের সদস্যদের দিল্লী নিয়ে গেল তৃণমূল। ৩ রা অক্টোবর গিরিরাজ সিংহের অফিসে ধর্ণায় সামিল হবেন তারা।তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন রবিবার বাঁকাদহের বড়ামারা গ্রামে যান। তার সাথে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদিকা সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াআসেন বাঁকুড়া জেলাপরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অর্চিতা বিদ, স্থানীয় বাঁকাদহ পঞ্চায়েতের প্রধান রামপ্রসাদ সাহা।
মৃত শিশুদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। দলের পক্ষ থেকে ওই পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্যও তুলে দেন সাংসদ শান্তনু সেন। এবং মৃত ৩ শিশুর পরিবারের চার জন সদস্যকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে দিল্লি রওনা দিয়েছেন মৃত ৩ শিশু রোহন, অঙ্কুশ ও নিশার বাবা জয়দেব সর্দার, চণ্ডি সর্দার ও প্রশান্ত সর্দার। এছাড়াও গিয়েছেন নিশার জেঠু ভক্ত সর্দার। এদিকে,মর্মান্তিক এই ঘটনার জন্য মোদীর সরকারের ওপর দায় চাপিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
এদিন বড়ামারা গ্রামে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘১১ লক্ষের ওপর মানুষের বাড়ির জন্য আবাস যোজনার পোর্টালে আপলোড করা হয়েছিল। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতা বশত এই ১১ লক্ষ মানুষের বাড়ির প্রথম কিস্তির ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার অন্যায় ভাবে আটকে রেখেছে। আজকে যদি শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার কারণে এই কাজটা বিজেপির সরকার না করত, তাহলে হয়তো ফুলের মতো এই তিন শিশুকে আমরা হারাতাম না।প্রসঙ্গত,শনিবার সকালে একটি মাটির বাড়ির সামনে খেলা করছিল রোহন সর্দার (৫), অঙ্কুশ সর্দার (৩) ও নিশা সর্দার (৪)।এই তিন শিশু।
সেই সময় আচমকা মাটির দেওয়াল ধসে পড়ে। সেই দেওয়ালে চাপা পড়ে শিশুরা। ভাঙা দেওয়াল সরিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৩ শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) চলতি আর্থিক বছরে (২০২৩-২৪) পশ্চিমবঙ্গের ‘ওপেনিং ব্যালেন্স’-এ অর্থাৎ রাজ্যের হাতে খরচ না হওয়া অর্থ হিসেবে রয়েছে প্রায় ২,৪৭১ কোটি টাকা। এই টাকাই ‘অ্যাভেলেবল ফান্ড’ ব্যবহারযোগ্য তহবিল হিসেবে কেন্দ্রীয় নথিতে দেখানো হয়েছে।তাই টাকা আটকে রাখার অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇