মল্লভুম বিষ্ণুপুর

জাল নোট কান্ডে ধৃত গুরুপদ'র ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত,অপরাধের কিনারা করতে শুরু পুলিশের ম্যারাথন জেরা।

নোট ছাপার কাগজ,কালি তিনি কোথা থেকে কিনতেন? তার গুনগত মান কি কি ছিল?এই কাগজ বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে চোরাপথে আমদানী করা কারেন্সি ছাপার কাগজ কিনা? এইসব তথ্য জানতে পুলিশ ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে গুণধর গুরুপদকে।

জাল নোট কান্ডে ধৃত গুরুপদর ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত,অপরাধের কিনারা করতে শুরু পুলিশের ম্যারাথন জেরা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : জাল নোট কান্ডে ধৃত গুরুপদ আচার্যকে পাঁচ দিনের হেফাজতে পেয়ে তাকে ম্যারাথন জেরা করে, এই কান্ডের কিনারা করতে চাইছে জয়পুর থানার পুলিশ। ধৃত গুরুপদ বাবুকে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে, বিচারক তার ৫ দিনের পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত, গত পয়লা জুন,বুধবার বাঁকুড়ার জয়পুর থানার গোপালনগর গ্রমে গাজন মেলায় জাল ৫০০ টাকার নোট দিয়ে খেলনা কিনতে গিয়ে, সন্দেহ হওয়ায় এখানকার দোকানী ও স্থানীয়রা গুরুপদ আচার্যকে আটকে রাখে। এবং তার কথাবার্তায় অসঙ্গতি মেলায় চলে বেদম গণপিটুনি।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জয়পুর থানার পুলিশ। এবং তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এবং তার কাছ থেকে পাওয়া ৫০০ টাকার নোটটি দেখে, তা যে জাল তা টের পায় পুলিশ। তারপর তড়িঘড়ি বিষ্ণুপুরের সত্যজিত সরণিতে গুরুপদ বাবুর বাড়ী ও বাড়ী লাগোয়া স্টুডিওতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ প্রায় দেড় লাক্ষাধিক টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। সেই সাথে জাল নোট ছাপার সামগ্রী,প্রিন্টার,স্ক্যানার সহ কিছু যন্ত্রপাতি বাজেয়াপ্ত করে। জাল নোটের এই ছাপা খানা দেখে পুলিশের আধিকারিকরাও আবাক হয়ে যান।

শুধু ৫০০ টাকা নয়,১০০,২০০ ৫০,এবং ২০ টাকারও জাল নোট ছাপা হত গুরুপদর ছাপাখানায়। এক পলকে নোট দেখে আসল,না নকল তা চেনাও মুশকিল। দীর্ঘদিন ধরে গুরুপদ বাবু এই জাল নোট ছাপার কারবার চালিয়ে আসছিলেন বলে পুলিশ মনে করছে। ইদানিং তার হার্ডওয়ার দোকান তুলে দিয়ে স্টুডিও কাম জেরক্স দোকানের আড়ালে এই জাল নোট ছাপার কাজেই বেশী মনোযোগী হয়ে পড়েন।গুরুপদ বাবু। এমন তথ্য পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে। গত বুধবার,পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করলেও গণপিটুনির জেরে আঘাত গুরুতর থাকায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

এখন সুস্থ থাকায় আজ শনিবার গুরুপদ বাবুকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলে জয়পুর থানার পুলিশ। এবং বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বলে জানান সরকারি আইনজীবী।এদিকে,তদন্তকারি পুলিশ আধিকারিকরা এখন খতিয়ে দেখছেন গুরুপদ বাবুর এই জাল নোট ছাপার কারবার তার ব্যক্তিগত উদ্যোগই তিনি চালিয়ে আসছিলেন,না কোন বড়ো সিন্ডিকেট রয়েছে এর পিছনে। এছড়াও নোট ছাপার কাগজ,কালি তিনি কোথা থেকে কিনতেন? তার গুনগত মান কি কি ছিল? এবং এই নোট ছাপার কাগজ বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে চোরাপথে আমদানী করা কারেন্সি ছাপার কাগজ কিনা? এসব তথ্য জানতে পুলিশ ম্যারাথন জেরা শুরু করেছে গুণধর গুরুপদকে। এমনটাই সুত্রের খবর।

এখন দেখার এই ৫ দিন হেফাজতে রেখে পুলিশ গুরুপদর জাল নোট ছাপার কারবারের কিনারা করতে পারে কিনা?

👁️দেখুন🎦ভিডিও। 👇



Next Story