ব্ল্যাড ব্যাংকের রক্তের ব্যাগে মেয়াদের তারিখ বিভ্রাট!চরম হয়রানির শিকার রোগীর পরিবার,বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাংকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ।
বিষ্ণুপুর ব্ল্যড ব্যাংকের ইস্যু করা রক্তের ব্যাগে রক্ত সংগ্রহের তারিখ লেখা আছে ২৬/০২/২০২৫ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ লেখা আছে ০২/০৪/২০২৬। সেই হিসেবে রক্তের মেয়াদ এখানে প্রায় ১ বছর ২ মাসের। আর এই নিয়েই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বাঁকুড়ার পড়শি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা গৌড় ঘোষের পরিবার।

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ব্ল্যাড ব্যাংকের গাফিলতির ফলে এক মুমূর্ষু রোগীকে রক্তই দেওয়া গেল না।কারণ, বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাংকের রক্তের ব্যাগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ বিভ্রাট! সাধারণত ব্ল্যাড ব্যাংকের রক্তের ব্যাগে রক্তের মেয়াদ সংগ্রহের ৩৫ থেকে ৪২ দিনের মধ্যে থাকে। কিন্তু বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের এই রক্তের ব্যাগে মেয়াদ উত্তীর্ণের যে সময় লেখা আছে, তা দেখে যে কোন চিকিৎসক বা ল্যাব কর্মীর অবাক হওয়ারই কথা।মেয়াদ কাল এক বছরেরও বেশী। স্বাভাবিক ভাবে এই ব্ল্যাড ব্যাংকের মেডিকেল অফিসার ও কর্মীদের দায়িত্ব জ্ঞান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এই ব্ল্যড ব্যাংকের ইস্যু করা রক্তের ব্যাগে সংগ্রহের তারিখ লেখা ২৬/০২/২০২৫ এবং মেয়াদ উত্তীর্ণের রারিখ লেখা আছে ০২/০৪/২০২৬।
সেই হিসেবে রক্তের মেয়াদ এখানে প্রায় ১ বছর ২ মাসের। আর এই নিয়েই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বাঁকুড়ার পড়শি জেলা পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বাসিন্দা গৌড় ঘোষের পরিবার। গৌড় বাবু গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি আছেন। চিকিৎসার জন্য নার্সিং হোম O নেগেটিভ রক্তের রিকিউজিশন করে দেন। পরিবারের লোকজন স্থানীয় ভাবে বহু খোঁজাখুঁজির পর রক্ত না পেয়ে, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাংকের দ্বারস্থ হন। সেখানে 0 নেগেটিভ রক্ত মজুদ ছিল। এবং তারা সেই রক্ত সংগ্রহ করে দ্রুত মেদিনীপুর ফিরে যান। নার্সিং হোমে রোগীকে রক্ত দেওয়ারা আগে পরীক্ষা করতে গিয়ে এই মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ বিভ্রাট নজরে পড়ে সেখানকার এক চিকিৎসককের। এর পরই এই ঘটনা নিয়ে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়।
চিকিৎসক রোগীকে ওই রক্ত না দিয়ে, তাদের বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাংকে রক্তের ব্যাগ নিয়ে গিয়ে,তা বদল করে আনতে বলেন। সোমবার রাতে পরিবারের লোকজন ফের বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাংকে রক্তের ব্যাগ নিয়ে হাজির হন। তখন ব্ল্যাড ব্যাংকের নাইট সিফটের এক কর্মী এই ভুলের কথা কার্যত স্বীকার করে নেন।এবং তিনি বলেন,যেহেতু সকালে তার ডিউটি ছিলন না,তাই তিনি এ নিয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে,তার দাবি, এই সমস্যা হত না,যদি রোগীর পরিবার বা ব্ল্যাড ব্যাংকের কর্মী তখন তারিখ মিলিয়ে নিতেন এদিকে,ব্লাড ব্যাংকের এই গাফিলতি জেরে চরম হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় রোগীর পরিবারের লোকজনদের। রক্ত যথা সময়ে না দেওয়ায় ভুগতে হয় রোগীকেও। এই ঘটনাাা পর স্বভাবিক প্রবেই প্রশ্ন উঠছে বিষ্ণুপুর ব্ল্যাড ব্যাঙ্কের দায়িত্ব জ্ঞান নিয়েও? এমন ভুল কিভাবে হল? তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
রক্তের মতো জীনবদায়ী অতি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দিতে গিয়ে, ব্ল্যাড ব্যাংকের ভুলে যদি কোন রোগীর প্রাণ যায়? তাহলে তার দায় তো এই ব্ল্যাড ব্যাংকের ওপরেই বর্তাবে। তাহলে কেন এত গাফিলতি? এখন দেখার এই ঘটনার খবর প্রকাশের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের টনক নড়ে কিনা? এখন দেখার কর্তারা গাফিলতি চিহ্নিত করে অভিযুক্ত কর্মী বা আধিকারিকের শাস্তির বিধান দেন? না, শাক দিয়ে মাছ ঢেকে ফেলার পথে হাঁটেন? সে দিকেই নজর রইল সবার।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇