ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু,জেলার নাড়রা ও রায়বাঘিনী গ্রামে মৃত ২ বিজেপি কর্মীর বাড়ীতে তদন্তে সিবিআই।
হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার জেলার নাড়রা ও রায়বাঘিনী এই দুই গ্রামে তদন্তে আসে সিবিআই টিম। দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এই টিম দুই গ্রামে ঘুরে নানা তথ্য সংগ্রহ করে। মৃত বিজেপি দুই কর্মীর পরিবারের সাথে কথাও বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মী কুশ ক্ষেত্রপাল ও অরুপ রুইদাসের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এল সিবিআই টিম। গত ৯ মে কোতুলপুর থানার রায়বাঘিনী গ্রামে কুশ ক্ষেত্রপাল নামে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর পরিবারের লোক দাবী করেন যেহেতু কুশের দাদা লব বিজেপির পোলিং এজেন্ট ছিলেন।তার পর থেকেই তৃণমূল তাদের শাসাচ্ছিল।
এবং তারা তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও তোলেন। পাশাপাশি,ইন্দাসের নাড়রা গ্রামে গত ৫ ই মে বিজেপি কর্মী অরূপ রুইদাসের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় পুর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষ থানা একাকায়। তার পর পরিবারের লোক ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে খুনের অভিযোগ তোলেন। অবশেষে,কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার এই দুই গ্রামে তদন্তে আসে সিবিআই টিম। দুপুর থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত এই টিম জেলায় নানা তথ্য সংগ্রহ করে। মৃত বিজেপি দুই কর্মীর পরিবারের সাথে কথাও বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। রায়বাঘিনী গ্রামে যে পুকুর থেকে কুশে ক্ষেত্রপালের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল সেখানেও সিবিআইয়ের টিম তথ্য সংগ্রহ করেন। একই ভাবে ইন্দাসেও তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। বিশাল কনভয় গ্রামে ঢুকতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সিবিআইয়ের টিমে এক মহিলা আধিকারিকও ছিলেন। প্রসঙ্গত,গত ১৯ আগস্ট কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী খুন ও ধর্ষণের ঘটনা গুলির তদন্তের ভার সিবিআইয়ের ওপর ন্যাস্ত করে। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে পা রেখেছে সিবিআই টিম।
শুক্রবার বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ও কোতুলপুর এই দুই জায়গায় তদন্ত শুরু করে সিবিআইয়ের টিম। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্যে ইতিমধ্যে ৯ টি কেস নথিভুক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে বাঁকুড়ায় রয়েছে দুটি কেস। সিআরপিএফের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে এদিন জেলার এই দুটি কেসের তদন্ত সারলেন সিবিআই টিম।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇