বিলেশ্বরের বিদায়, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নুতন সভাপতি নির্বাচিত হলেন বিধায়ক অমরনাথ শাখা।
দীর্ঘ দিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা এবং মাঠে,ঘাটে,মাটির সাথে যোগ রেখে রাজনীতি করার নিজস্ব কৌশলই হল অমর নাথ বাবুর রাজনৈতিক ভাবে সফলতার ইউএসপি। তাই জেলা সভাপতির দায়িত্ব তার ওপর বর্তানোর ফলে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কর্মী,সমর্থকদের মধ্যেও নতুন উদ্যমের সঞ্চার হবে বলে বিজেপির সিংহভাগ কার্য্যকর্তা মনে করছেন।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার নুতন সভাপতি নির্বাচিত হলেন অমরনাথ শাখা৷ জেলার ওন্দা বিধানসভার এই বিজেপি বিধায়কে লোকসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক স্তরে বড়ো দায়িত্ব দিল দল,তা বলাই বাহুল্য।রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন,রাজ্যের প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করা হয়নি।এই পদে যথারীতি বহাল আছেন সুনীল রুদ্র মন্ডল।প্রসঙ্গত,বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিদায়ী সভাপতি বিলেশ্বর সিনহার নামে সম্প্রতি বাঁকুড়া দুই নাম্বার ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় মন্ডল সভাপতি বদল কে কেন্দ্র করে আপত্তিকর পোস্টার পড়ে।
এই সাঁটানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির অন্দরেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।তা নিয়ে রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে সাংগঠনিক স্তরে খোঁজ খবরও নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর।ওই পোস্টারের কয়েকটিতে লেখা ছিল: বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিলেশ্বর সিনহা কাকে নিয়ে দীঘা যান? দীঘা যাওয়া ও নতুন মন্ডল সভাপতির পদ দেওয়ার যোগাযোগ টা একটু বলুন।' আবার কোনোটিতে লেখা ছিল : মন্ডলে কোন আলোচনা ছাড়ায় বাঁকুড়া ২ ও ওন্দা ৪ নাম্বার মন্ডলে কেন সভাপতি বদল হল? বিলেশ্বর সিনহা জবাব দিন। আবার কোন পোস্টারে লেখা ছিল: বিলেশ্বর হটাও,বিষ্ণুপুর বাঁচাও। এমন পোস্টারে ছয়লাপ হয়ে যায় বিকনা অঞ্চল।
এই পোস্টার কান্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই জেলা সভাপতি পদ থেকে বিলেশ্বর বাবুর হটে যাওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছ।দলের একাংশে দাবি, এই পোস্টার কান্ডের জেরেই বিলেশ্বর বাবুকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে,বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত অমরনাথ শাখা৷ তিনি বলেন,দল যে বড়ো দায়িত্ব দিয়েছে, lতা মাথা পেতে নিচ্ছি এবং বিষ্ণুপুর জুড়ে বিজেপির আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি, লোকসভা ভোটে বিষ্ণুপুরে বিজেপির জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানো কাজে বেশী গুরুত্ব দেবেন তিনি।
দীর্ঘ দিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা এবং মাঠে,ঘাটে,মাটির সাথে যোগ রেখে রাজনীতি করার নিজস্ব কৌশলই হল অমর নাথ বাবুর রাজনৈতিক ভাবে সফলতার ইউএসপি। তাই জেলা সভাপতির দায়িত্ব তার ওপর বর্তানোর ফলে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি কর্মী,সমর্থকদের মধ্যেও নতুন উদ্যমের সঞ্চার হবে বলে বিজেপির সিংহভাগ কার্য্যকর্তা মনে করছেন।
👁️🗨️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇