মল্লভুম বিষ্ণুপুর

তুলির টানে দুই বাংলার মেলবন্ধন মল্লভূম বিষ্ণুপুরে।

বিষ্ণুপুরে বীর হাম্বির উদ্যানে আঙ্কন শিবিরের আয়োজন করেছিল দেবারতি কলাকেন্দ্র।এই দুই দিনের শিবিরে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের শিল্পীরাও যোগ দেন। তুলির টান আর নানা রঙের মিশ্রণে এই দুই দুই বাংলাও মিলে- মিশে একাকার।এপার ও ওপার বাংলার শিল্পীদের মনন ও সৃজন ধারা মিশে গেল তাদের শিল্পকলায়।

তুলির টানে দুই বাংলার মেলবন্ধন মল্লভূম বিষ্ণুপুরে।
X

বাঁকুড়া২৪x৭( বলরাম চক্রবর্তী, বিষ্ণুপুর) : টেরাকোটা নগরী মল্লভূম বিষ্ণুপুর মল্লরাজাদের আমল থেকেই শিল্প,কৃষ্টি এবং সঙ্গীতে নিজস্ব ঘরানা তৈরি করে নজর কেড়েছিল শিল্প ও সংস্কৃতি বোদ্ধাদের।সেই পরম্পরা কে বাঁচিয়ে রাখতে মল্লভূমের বীর হাম্বির উদ্যানে আঙ্কন শিবিরের আয়োজন করেছিল দেবারতি কলাকেন্দ্র।এই দুই দিনের শিবিরে ওপার বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের শিল্পীরাও যোগ দেন।তুলির টান আর নানা রঙের মিশ্রণে এই দুই দুই বাংলাও মিলে- মিশে একাকার।এপার ও ওপার বাংলার শিল্পীদের মনন ও সৃজন ধারা মিশে গেল তাদের শিল্পকলায়।আর এমন সুযোগ পেয়ে বেজায় খুশী বাংলাদেশের শিিল্পী প্রিয়াঙ্কা সাহা।

জল রং,তেল রং কিংবা প্যাস্টেল দিয়ে যে যার ছবিকে প্রণবন্ত করে তুলেছেন দেবারতি কলা কেন্দ্রের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের চিত্রকলায় যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় রেখেছেন।বাংলাদেশের শিল্পীরাও তাদের চিত্র সম্ভারে মনজয় করেছেন শিল্প অনুরাগীদের।দেবারতি কলা কেন্দ্রের কর্ণধার গণপতি পাল বলেন,এই দুইদিনের অঙ্কন শিবিরে ভালো সাড়া মিলেছে অংশগ্রহণকারীদের অনুদানেই এই শিবিরের আয়োজন।তবে, সরাকারি অনুদান পেলে আরো বড়ো আকারে এই শিবির করা যেত। তাই,সরকারি অনুদান না মেলায় আক্ষেপের সুর গণপতি বাবুর গলায়। তবে, তিনি চান আসছে বছর এই শিবিরের পরিধি বাড়াতে।

শিল্পীযামিনী রায়,রামকিঙ্কর বেইজের বাঁকুড়া শিল্পের কদর জানে।তাই এই জেলার বিষ্ণুপুরে নতুন প্রজন্ম যেভাবে দুদিন ধরে শিল্প চর্চায় সামিল হলেন,তা আগামীর সৃষ্টিতে ইতিবাচক ভুমিকা নেবে তা বলাই বাহুল্য।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story