ছাতনা- মুকুটমণিপুর রেলপথ তৈরির কাজ ফের শুরুর দাবিতে পদযাত্রা,কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারকেই আক্রমণ আন্দোলনকারীদের।
২০০৫ সালে বাঁকুড়ার তৎকালীন সিপিআইএম সাংসদ তথা কেন্দ্রের রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে ছাতনা-মুকুটমনিপুর রেল লাইন প্রকল্পে ছাড়পত্র দেয় রেল। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার কাজও শুরু হয়।কিন্তু তার প্রায় একযুগ কেটে গেলেও রেল পথ স্থাপন অধরাই রয়ে গেছে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ছাতনা-মুকুটমণিপুর রেলপথের কাজ ফের শুরু করার দাবীতে পদয়াত্রায় সামিল হলেন কয়েক হাজার মানুষ। এদিন সকালে ছাতনা থেকে শুরু হয় এই পদযাত্রা।শেষ হয় মুকুটমণিপুরে। পদযাত্রা ৫ টি ভাগে এদিন সংগঠিত হয়। ছাতনার দুবরাজপুর মোড় থেকে দ্বারকেশ্বর নদীর প্রান্ত পর্যন্ত প্রথম দলটি পদযাত্রায় সামিল হন।দ্বিতীয় টি বাঁকুড়া ১ নাম্বার ব্লকের বেলিয়া থেকে শুরু করে শুনুকপাহাড়ী পর্যন্ত যাত্রা করে।।এবং তৃতীয় দল যাত্রা শুরু করে ইন্দপুর ব্লকের বাংলা থেকে এবং শীলাবতী নদীর ধারে শেষ করে।।চতুর্থ দলটি হীড়বাঁধ ব্লকের বহড়ামুড়ি থেকে হাতিরামপুর পর্যন্ত পদযাত্রায় সামিল হয় এদিন।
পাশাপাশি,খাতড়া ও রানিবাঁধ ব্লক যৌথভাবে সংগঠিত করে খড়বন থেকে মুকুটমনিপুর পর্যন্ত পদযাত্রা। আন্দোলনকারীদের পক্ষে অজিত পতি বলেন,বাঁকুড়ার একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন,আবার রাজ্য সরকারের ও একজন প্রতিমন্ত্রী আছেন।যার বিধানসভার মধ্যে পড়ে এই মুকুটমণিপুর।অথচ এই দুজনের কেও রেলপথের কাজ ফের শুরুর জন্য উদ্যোগ নেননি,একটা মিটিং পর্যন্ত ডাকেন নি। প্রয়াত সাংসদ বাসুদেব আচারিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন না,শুধুমাত্র রেলওয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এই রেলপথ চালুর উদ্যোগ নিয়েছিলেন।গত লোকসভা ভোটের পর ৫ বছর পার হয়ে গেলেও কোন হেলদোল নেই কেন্দ্রের।
ছাতনা- মুকুটমণিপুর রেলপথের জট কাটল না আজও।প্রায় একযুগ ধরে বন্ধ হয়ে আছে এই কাজ।রেল বাজেটেও দুয়োরানী হয়ে আছে বাঁকুড়ার রাণী মুকুটমণিপুর।ফলে ছাতনা সহ সারা জঙ্গলমহলের মানুষ আজ বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন তারা। আজ পদযাত্রায় সামিল হলেন।এরপরও কেন্দ্রের টনক না নড়লে আরোও বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।প্রসঙ্গত,এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ মুকুটমণিপুর দেশের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে তার অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য।অথচ এই পর্যটন কেন্দ্রের সাথে আজও রেল যোগাযোগ গড়ে উঠল না। তাই ক্ষুব্ধ সারা জঙ্গলমহলের মানুষ।
২০০৫ সালে বাঁকুড়ার তৎকালীন সিপিআইএম সাংসদ তথা কেন্দ্রের রেলওয়ে স্ট্যাণ্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান, বাসুদেব আচারিয়ার উদ্যোগে ছাতনা-মুকুটমনিপুর রেল লাইন প্রকল্পে ছাড়পত্র দেয় রেল। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ার কাজও শুরু করা হয়।চলে মাটি ভরাটের কাজও। এমনকি ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী নিউ ভেদুয়াশোল স্টেশনের শিলান্যাস হওয়ায় সারা জঙ্গলমহলের মানুষের মনে আশার সঞ্চার হয় যে এবার জঙ্গলমহল দিয়ে রেল ছুটবে।মুকুটমণিপুরের সাথে রেলপথে যোগাযোগ গড়ে উঠবে।পর্যটকদের ভীড় উপচে পড়বে।ঘুরে দাঁড়াবে জঙ্গলমহলের অর্থনীতি। কিন্তু সেই আশা বৃথাই রয়ে গেলো।
দুয়ারে আরও একটা লোকসভা ভোট কড়া নাড়লেও রেলপথের কাজ থমকেই রয়ে গেছে। তাই ফের এই রেলপথের কাজ শুরুর দাবিতে জোট বাঁধলেন তারা৷ এখন দেখার এই জোটের লড়াই ছাতনা- মুকুটমনিপুর রেল পথ ছিনিয়ে আনতে পারে কিনা?
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇