জঙ্গলমহল খাতড়া

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ কে ঘিরে উত্তেজনা তালডাংরায়, ধৃত ৮ জনের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত।

গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ কে ঘিরে উত্তেজনা তালডাংরায়, ধৃত ৮ জনের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে উঠল জেলার তালডাংরার মান্ডি গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট। মৃত তৃণমূল কর্মী বিপ্লব রায়ের (৪৮) পরিবারের দাবী, তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই বিপ্লবের প্রাণ গেল। বিপ্লবের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানা, গেছে শনিবার রাত ১০ টা নাগাদ গ্রামের রাস্তার ধারে কয়েকজনের সাথে গল্প করছিলেন তিনি। আচমকা একদল লোক লাঠিসোটা নিয়ে বিপ্লবকে আক্রমণ করে। এবং বেধড়ক পেটানো হয় তাকে। পরিবারের লোকজন ও বিপ্লবের গোষ্ঠীর লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মৃত বিপ্লব বাবুর ভাই কৌশিক রায় জানান,তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই তার দাদাকে খুন হতে হল। তৃণমুলের স্থানীয় নেতা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর অনুগামীরাই এই খুনের ঘটনায় যুক্ত।পেশায় সেচ দপ্তরের কর্মী হলেও গ্রামে তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন বিপ্লব বাবু। ১৯৯৮ সাল থেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। এবং বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীর বিপক্ষ গোষ্ঠী নিতাই চক্রবর্তীর অনুগামী ছিলেন বিপ্লব বাবু। তারই খেসারত হিসেবে তার প্রাণ গেল এদিন। এদিকে,এই খুনের ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক চাপান উতোরও চলছে পুরোদমে। স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি মনসা রাম লায়েকের দাবী, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী আগে তৃণমূল করলেও এখন তিনি বিজেপি নেতা।বিজেপির ইন্ধনেই এই হত্যা কান্ড ঘটানো হয়েছে।

যদিও,বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত আগস্তির পালটা দাবী, আসলে এই হত্যাকান্ড দুই চক্রবর্তীর জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের ফল। এর সাথে বিজেপির কোন যোগ নেই। আর বিশ্বজিৎ চক্রবর্তীও বিজেপির কোন নেতা নন। তৃণমূল তাদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব ঢাকতে এখন বিজেপির ওপর মিথ্যে অভিযোগ এনে পার পেতে চাইছে। কিন্তু, তালডাংরার মানুষের কাছে পুরো ঘটনা স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই, তৃণমূল তাদের দোষ আর ঢাকতে পারবে না।অন্যদিকে,শনিবার রাতেই এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ এবং এই হত্যা কান্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলা সহ আট জনকে গ্রেপ্তার করে। আজ ধৃতদের খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।

পুলিশ ধৃতদের ফেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকান্ডের পিছনে কারা রয়েছে এবং খুনীদের মোটিভ কি ছিল? তা শীঘ্রই কিনারা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story