জঙ্গলমহল খাতড়া

এবার মুকুটমণিপুরে তৈরি হবে রোপওয়ে,উদ্যোগ নিচ্ছেন পর্যটন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুকুটমণিপুর জলাধারের ওপরে একপ্রান্ত থেকে আরএক প্রান্ত জুড়ে তৈরি হবে রোপওয়ে। অর্থাৎ মুকুটমণিপুর থেকে বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্ক যাওয়া যাবে রোপওয়ে দিয়ে। এমন উদ্যোগকে বাস্তব রুপ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাজ্যের পর্যটন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এবার মুকুটমণিপুরে তৈরি হবে রোপওয়ে,উদ্যোগ নিচ্ছেন পর্যটন দপ্তরের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুর জলাধারের। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মাটির বাঁধটিকে এবার আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী রাজ্যের পর্যটন দপ্তর। এই জলাধারের ওপরে একপ্রান্ত থেকে আরএক প্রান্ত জুড়ে তৈরি হবে রোপওয়ে। অর্থাৎ মুকুটমণিপুর থেকে বনপুখুরিয়া ডিয়ার পার্ক যাওয়া যাবে রোপওয়ে দিয়ে। এমন উদ্যোগকে বাস্তব রুপ দিতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন রাজ্যের পর্যটন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান,এই প্রস্তাব অনেকদিন ধরেই উঠছে।

এবং তার কাছেও বহু পর্যটনপ্রেমী মানুষজন রোপওয়ে তৈরির জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। এবার, সেই প্রস্তাবকে বাস্তব রূপ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। তাই পর্যটন দপ্তরকে ডিপিআর তৈরির জন্য তিনি তদারকি করার পাশাপাশি,এই রোপওয়ে তৈরির আর্থিক বরাদ্দ কিভাবে আসবে, তা ঠিক করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকে দরবারও করবেন। সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়ায় এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা জানান। তিনি আরও বলেন, মুকুটমণিপুরে রোপওয়ে তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি,জঙ্গলমহলের ঝিলিমিলিকেও ঢেলে সাজানো হবে। এছাড়া বাঁকুড়ার জয়রামবাটি, জয়পুর জঙ্গল, বিষ্ণুপুর,মুকুটমণিপুর,

এবং শুশুনিয়া,বিহারীনাথ পাহাড় থেকে গাঙদুয়া জলাধার,কোড়ো পাহাড় এই সব মিলিয়ে জেলার টুরিস্ট সার্কিট ঘিরে পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলতে আর কি,কি প্রকল্প হাতে নেওয়া যায়?তাও খতিয়ে দেখছে পর্যটন দপ্তর।প্রসঙ্গত,মুকুটমণিপুর জলাধারে রোপওয়ে চালু হয়ে গেলে এডভেঞ্চার প্রেমী পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধটি।পাশাপাশি,এখানকার বারোঘুটু পাহাড়ে রকক্লাইম্বিং,জলাধারে ওয়াটার রাইড,বোটিং,সুইমিং সহ আরও কিছু এডভেঞ্চার স্পোর্টস এর ব্যবস্থা রাখলে বাঁকুড়ার রানী মুকুটমণিপুরে পর্যটকদের ভীড় যে উপচে পড়বে।

এখন দেখার, রোপওয়ে তৈরির কাজ চালুর সরকারি ছাড়পত্র কত তাড়াতাড়ি মেলে? সেদিকেই জনর রইল সবার।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story