জঙ্গলমহল খাতড়া

ঝাড়খন্ড থেকে বাংলা মুখী মাও স্কোয়াড!জারি হাই এলার্ট বাঁকুড়াতেও শুরু পুলিশি তৎপরতা।

এবার ঝাড়খন্ড ছেড়ে বাংলায় ঘাটি গাড়ার কৌশল নিয়েছে মাওবাদীরা।তাই বাংলার জঙ্গল মহলে নিজেদের বলয় গড়ে তুলতে, এখানে নাশকতার মাধ্যমে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এবং এবারও তাদের টার্গেট সেই পুলিশ বাহিনী। তবে,আগাম সতর্কতা মেলায় মাওবাদীদের নাশকতার ছক বানচাল করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুলিশ। পুরো জঙ্গল মহল জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে।

ঝাড়খন্ড থেকে বাংলা মুখী মাও স্কোয়াড!জারি হাই এলার্ট বাঁকুড়াতেও শুরু পুলিশি তৎপরতা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রায় এক দশক পর ফের মাও হামলার আশঙ্কার আগাম সতর্কতা ইতি মধ্যেই জারি করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এমনকি ১৫ দিনের মধ্যে রাজ্যের জঙ্গল মহলের থানা,পুলিশ আউট পোস্টে মাও নাশকতার আভাষও মিলেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ওই রিপোর্টে। ১৫ দিনের জন্য জঙ্গলমহলের বাঁকুড়া,পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে৷ ২০১১ সালে কিষেনজির মৃত্যুর পর বাংলা থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে ঝাড়খন্ডে পাড়ি দিয়েছিল মাও স্কোয়াড গুলি। আবার বেশ কিছু স্কোয়াড লিডার স্কোয়াড ছেড়ে সমাজের মুলস্রোতে ফিরতে আত্মসমর্পণও করে। এবং সরকারি চাকরিতেও যোগ দেয়।তার পর থেকে বাংলার জঙ্গল মহলে মাওবাদীদের উপস্থিতি কার্যত নজরেই পড়ত না।

প্রায় এক দশক পার হওয়ার পর ফের বাংলার জঙ্গল মহলে মাথাচাড়া দিচ্ছে মাওবাদীরা। গত ৮ তারিখে মাওবাদীদের ডাকা বনধে তারা জঙ্গল মহলে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেয়। এবং তার অল্প দিনের মধ্যেই তারা জঙ্গল মহলে পুরানো কায়দায় নাশকতা চালানোর কর্মসুচী নেয়। এবং তাদের মুল টার্গেট পুলিশ,থানা,পুলিশ চৌকি, পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশের গাড়ী। এই কর্মসুচী ১৫ দিন ধরে চলাবে মাওবাদীরা এমন তথ্য আগাম হাতে চলে আসে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের।তাই এই কর্মসুচী বানচাল করতে আগে,ভাগেই জঙ্গল মহল জুড়ে সতর্কতা জারি করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই মতো আজ বাঁকুড়া জেলার জঙ্গল মহলের সারেঙ্গা,রাইপুর,রানীবাঁধ,বারিকুল,সিমলাপাল, এই পাঁচ থানা এলাকা জুড়ে পুলিশি তৎপরতা শুরু হয়েছে জোর কদমে।


চলছে মেগা সার্চিং অপারেশন। পাশাপাশি,বিভিন্ন সড়কের জংশন মোড় গুলিতে নাকা ও চলছে জোর কদমে। সারেঙ্গা থানার খয়ের পাহাড়ীতে এমনই এক সার্চ অপারেশনের চিত্র ধরা পড়েছে আমাদের ক্যামেরায়। বাঁকুড়া জেলা পুলিশ যে কোন ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে,কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, ঝাড়খন্ডের জঙ্গল গুলিতে মাওবাদী ডেরায় চিরুনি তল্লাসি চালিয়ে মাওবাদী দমন অভিযানে জোর দেওয়া হয়েছে৷ তার আঁচ লাগছে বাংলায়।ঝাড়খন্ড ছেড়ে মাওবাদী স্কোয়াড লিডার ও মেম্বাররা যান বাঁচাতে বাংলা অভিমুখে আসতে শুরু করেছে। এবং এখন কিছুদিন বাংলার জঙ্গল মহলে ঘাটি গাড়তে চাইছেন। গোয়েন্দাদের হাতে তেমনই খবর রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

গোয়েন্দা বিভাগের কাছে আরও তথ্য রয়েছে যে, ইতিমধ্যে ঝাড়খন্ড ছেড়ে বাংলার জঙ্গলমহলে আশ্রয় নিয়েছেন মাওবাদী শীর্ষ দুই নেতা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকাশ ও রাজ্য সম্পাদক অজয়। পাশাপাশি,মাওবাদীরা ঝাড়খন্ডে একেবারে কোনঠাসা অবস্থায়। তাদের ইস্টার্ন রিজিওনাল ব্যুরোর পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি তে দাবীও করা হয়েছে যে,ঝাড়খন্ডে তাদের জঙ্গলের ঘাটি গুলিতে আকাশ পথে বোমাবাজি করিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর থেকে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে,সেই কারনে নিজেদের জীবন বাঁচাতে এবার বাংলায় ঘাটি গাড়ার কৌশল নিয়েছে মাওবাদীরা। এবং বাংলার জঙ্গল মহলে নিজেদের বলয় গড়ে তুলতে এখানে নাশকতার মাধ্যমে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এবং এবারও তাদের টার্গেট সেই পুলিশ বাহিনী।

তবে,আগাম সতর্কতা মেলায় মাওবাদীদের নাশকতার ছক বানচাল করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পুলিশ। পুরো জঙ্গল মহল জুড়ে পুলিশি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে।

👁️ দেখুন 🎦ভিডিও। 👇


Next Story