মহুয়া মদের টানেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা টপকে বাঁকুড়ায় হানা গজরাজের,তান্ডবে ভাঙ্গল ১৫ টি মাটির বাড়ি।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : খাবার নয়,দেশী মহুয়া মদের টানেই রাতের অন্ধকারে সীমানা টপকে জেলায় হানা দিচ্ছেন গজরাজ। শুধু হানা দিলে ক্ষতি ছিল না। কিন্তু মদ্যপ হাতির তান্ডবে দিশেহারা গ্রামবাসীরা।এই দামাল হাতি গতরাতে ১৫ টি মাটির বাড়ি ভেঙ্গে ফেলেছে। ক্ষতি করেছে একটি ওষুধের দোকানেও। মুলত দিনের বেলায় পশ্চিম মেদিনীপুরে গোয়ালতোড়ে জঙ্গলে কাটালেও রাত হলেই পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা টপকে গোয়ালতোড় লাগোয়া সারেঙ্গা রেঞ্জে ঢুকে পড়ছে এই হাতিটি। সিমলাপাল ব্লকের দুবরাজপুর এলাকার পুটিয়াদহ ও বালিঝুরঝুরি এই গ্রাম দুটিতে হানা দিচ্ছে।সপ্তাহ তিনেক হল এই হাতির আনাগোনা নজরে পড়ে বন দপ্তরের।পাশাপাশি ঘটছে হানাদারির ঘটনা। বন দপ্তর বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে পাঠিয়ে দিলেও, ফের রাত বাড়লেই মদের নেশায় হাতিটি হানা দিচ্ছে এই দুই সীমানাবর্তী গ্রামে।
ফলে মাটির বাড়ির পাশাপাশি জমির ধান ও মরসুমী সবজিরও ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে। বন দপ্তরের সারেঙ্গার রেঞ্জ অফিসার সুরজিৎ মজুমদার বলেন এখন জঙ্গলে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে তাই সীমানা ছাড়িয়ে হাতি খাবারের টানে ঢুকে পড়ছে এমনটা নয়, তবে ঢুকে পড়ার পিছনে মূল কারণ হল মহুয়া মদ যা এলাকায় মোলের দেশী মদ নামেই পরিচিত। তা এই গ্রামের অনেক বাড়িয়েই তৈরী করার ট্রাডিশন রয়েছে। আর হাতিটি সেই মদের টানেই বার,বার গোয়ালতোড়ের জঙ্গল থেকে সারেঙ্গা রেঞ্জে হানা দিচ্ছে।মহুয়ার মদের গন্ধের টানে এই হাতির হানা ঠেকাতে এখন একটাই উপায় কিছু দিনের জন্য গ্রামে মহুয়ার মদ তৈরি বন্ধ রাখা। বা মহুয়ার মদ মজুত না রাখা। তবেই হাতির আনাগোনা ঠেকানো যাবে এমনটাই অভিমত বন দপ্তরের।
এখন দেখার গ্রামবাসীরা হাতির হানা থেকে বাঁচতে মহুয়ার মদ তৈরি থেকে বিরত থাকেন কিনা? তার ওপরই নির্ভর করছে গজরাজের গতিবিধি!
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇