জঙ্গলমহল খাতড়া

আদিবাসীদের বনধে শহর বাঁকুড়া থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে ৪০ টিরও বেশী পয়েন্টে পিকেটিং,বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ৪০টিরও বেশি জায়গায় পিকেটিং করে রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলায় বিকেল পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত শিকেয় ওঠে।চরম নাকাল হতে হয় আম জনতাকে।

আদিবাসীদের বনধে শহর বাঁকুড়া থেকে জঙ্গলমহল জুড়ে ৪০ টিরও বেশী পয়েন্টে পিকেটিং,বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : আদিবাসীদের যৌথমঞ্চের ডাকা বনধের জেরে টানা ১২ ঘন্টার ভোগান্তি আম জনতার। জেলার সদর শহর থেকে জঙ্গলমহল সর্বত্র চিত্রটা ছিল একই। সারা জেলা জুড়ে ৪০ টিরও বেশী সড়ক জংশন পয়েন্টে পিকেটিং এর জেরে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বনধ সমর্থনকারীদের বাধায় পিছু হটতে হয় সরকারি বাসকেও। এমন কি মোটর বাইকও হাতে করে ঠেলতে হয়।পথচারীরাও এদিন সমস্যায় পড়েন। বাঁকুড়া শহরের হেভীর মোড়ে কাকভোরেই পিকেটিং শুরু হয়ে যায়। প্ল্যাকার্ড হাতে মহিলারাও নেমে পড়েন বনধ সফল করতে। বন্ধের সমর্থনে শ্লোগানও দিতে থাকেন তারা।

শহরের পাশাপাশি,ওন্দার রতনপুরের মতো জায়গাতেও এদিন বনধ সফল করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন স্থানীয় আদিবাসীরা।ছাতনাতেও একই চিত্র ধরা পড়ে।এখানে সরকারি বাস চলাচলে বাধা দেন বনধ সমর্থনকারীরা। চলে পথ আটকে পিকেটিং। জেলার জঙ্গল মহলে বনধের প্রভাব ছিল বেশী। এখানে রাইপুর,সারেঙ্গা, রানিবাঁধ,ঝিলিমিলি এলাকায় দোকানপাঠও বন্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকেই বাঁকুড়া জেলা জুড়ে ৪০টিরও বেশি জায়গায় পিকেটিং করে রাজ্য সড়ক ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলায় বিকেল পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত শিকেয় ওঠে।

জেলার রানিগঞ্জ-খড়্গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক, বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ৬০-এ জাতীয় সড়ক এবং বাঁকুড়া-শালতোড়া, বাঁকুড়া-দুর্গাপুর, বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া-রারিবাঁধ রাজ্য সড়কে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন আম জনতা। এদিকে,আদিবাসী যৌথ মঞ্চের বিভিন্ন এলাকার নেতারা তাদের দাবিতে অনড়।তাদের অভিযোগ, কুড়মিরা আদিবাসীদের ইতিহাস বিকৃত করার চক্রন্তে নেমেছে।যারা আদিবাসী নন তাদের আদিবাসীর স্বীকৃতি দিতে রাজ্য সরকার সিআরআই রিপোর্টে বদল ঘটানোর খেলায় নেমেছে। তাই এই আন্দোলন। এমনটাই দাবি করেন তারা।

এবং কুড়মিদের এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে প্রকৃত আদিবাসীরা বাঞ্ছিত যাতে না হন তার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন আদিবাসীরা।এদিকে, জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে সন্ধ্যা ছটার পর যথারীতি সিডিউল মেনে দূরপাল্লা ও লোকাল বাস চলাচল করবে।

👁️‍🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story