সারেঙ্গায় অবরোধের পর টনক নড়ল প্রশাসনের,বৃহস্পতিবারের মধ্যে রাস্তা জবর দখল মুক্ত না হলে অপারেশন বুলডোজার।
প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাস্তার ধারে যারা জবর দখল করে আছেন বা যাদের অবৈধ নির্মান আছে তা নিজেদের ভেঙ্গে নিতে হবে।এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে না ভাঙ্গলে,প্রশাসন বুলডোজার চালিয়ে তা ভেঙ্গে দেবে। এমনকি ভাঙ্গার খরচও জবরদখলকারীদের বহন করতে হবে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন ( সঞ্জয় ঘটক,সারেঙ্গা ) জেলার জঙ্গলমহলের সারেঙ্গা চৌরাস্তায় চার নাম্বার রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের জেরে অবশেষে টনক নড়ল ব্লক প্রশাসনের। সারেঙ্গার পিড়রগাড়ীর মোড় থেকে ব্রাহ্মণডিহ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজে গড়িমসি এবং রাস্তার নির্ধারিত সীমানা কে উপেক্ষা করে এখনও জবরদখলকাররীদের অবৈধ নির্মান ভাঙ্গার কাজে উদাসীনতার অভিযোগ তুলে রবিবার সকালে পথ অবরোধ কর্মসূচিতে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা।প্রায় আধঘন্টা অবরোধ চলার পর সারেঙ্গা থনার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য অবরোধকারীদের সাথে প্রশাসনের কর্তাদের বৈঠকে বসানোর আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। এরপর দুপুরে সারেঙ্গা বিডিও অফিসে বিডিও ফাহিম আলম অবরোধকারীদের সাথে বৈঠকে বসেন।
এই বৈঠকে সারেঙ্গ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আল্পনা লোহার,সহ সভাপতি শেখর রাউত,পূর্ত কর্মার্ধ্যক্ষ দিব্যেন্দু সন্নিগ্রহী,আই,সি সুজিত ভট্টাচার্য এবং পি,ডাব্লু,ডির ইঞ্জিনিয়ার উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শেখর রাউত বাঁকুড়া২৪X৭ কে জানান,প্রশাসনের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয় হয়েছে যে,রাস্তার ধারে যারা জবর দখল করে আছেন বা যাদের অবৈধ নির্মান আছে তা নিজেদের ভেঙ্গে নিতে হবে।এবং আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে না ভাঙ্গলে,প্রশাসন বুলডোজার চালিয়ে তা ভেঙ্গে দেবে।এমনকি,ভাঙ্গার খরচ জবরদখলকারীদের বহন করতে হবে।
পাশাপাশি,তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও নেবে প্রশাসন। এমনটাও জানান শেখর বাবু।প্রসঙ্গত,সারেঙ্গা পিড়রগাড়ী মোড় থেকে ব্রাহ্মণডিহা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে কয়েক মাস আগেই।অভিযোগ, প্রশাসনের আধিকারীককদের উপস্থিতিতে চৌরাস্তা মোড় থেকে ব্রাহ্মণডিহা রাস্তার দুই পাশের যে সীমানা নির্ধারন করা স্বত্বেও সেই সীমানা অনুযায়ী সারেঙ্গা চৌরাস্তা মোড়ের সন্নিকটে যাদের বাড়ি বা দোকান রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই সেই সীমানা মেনে দোকান বা বাড়ি ভাঙেননি।ফলে থমকে আছে রাস্তা সসম্প্রসারণের কাজ।তার প্রতিবাদেই আজ এই অবরোধে সামিল হন গ্রামবাসীরা।
অবশেষে,প্রশাসন তাদের দাবি মেনে নেওয়ায় গ্রামবাসীরা খুশী।এদিকে,প্রশাসনও কোমর বাঁধছে।বৃহস্পতিবারে জট না কাটলে বুলডোজার যে প্রশাসনের হাতিয়ার হবে তা বলাই বাহুল্য।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇