চাষ- আবাদ

সহায়ক মূল্যে ধান বেচতে গিয়ে কার্যত 'চিড়ের বাইশ ফেরে' জেলার চাষীরা! বাড়ছে ক্ষোভ।

সহায়ক মূল্যে ধান বেচতে গিয়ে কার্যত চিড়ের বাইশ ফেরে জেলার চাষীরা! বাড়ছে ক্ষোভ।
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন (উত্তম দে,জয়পুর) : সরকারী সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রী করতে গিয়ে নিজেকে চাষী হিসেবে প্রমাণ করতে দফায়,দফায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন জেলার চাষীরা!

এবার ব্লক ওজেলা প্রশাসন চাষীর সনাক্তকরণে যে কয়েক দফা প্রক্রিয়া বেঁধে দিয়েছেন তার জেরে জেরবার হতে হচ্ছে চাষীদের।ফলে,অনেকে এতো ঝামেলা ঝক্কি এবং সময় নষ্টের হাত থেকে বাঁচতে ফড়েদেরই ধান বেচতে বাধ্য হচ্ছেন।

অন্যান্য বছর এতো ঝামেলা ছিলনা। এবার ধান বেচতে গিয়ে, কার্যত চিড়ের বাইশ ফেরে পড়ছেন জেলার প্রান্তিক চাষীরা।

জেলার জয়পুর কৃষাণ মান্ডিতে ধান কেনার সরকারি শিবিরে এমন অভিযোগেই সরব হয়েছেন স্থানীয় চাষীরা।

একজন চাষীকে এবছর সহায়ক মূল্যে ধান বেচতে হলে, প্রথমে পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফর্ম তুলতে হচ্ছে, তার পর তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত প্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষের শংসাপত্রের পর ফের ব্লকের কৃষিদপ্তরে চাষীকে গিয়ে হত্যে দিতে হচ্ছে। এখানে ছাড়পত্র মিললে তবে সহায়ক মুল্যে ধান বেচতে পারছেন চাষীরা।

এত পাক ঘুরে ধান বেচার সুযোগ মিললেও আবার লাভ নেই!কারণ ধান কেনার সময় মিল মালিকের মর্জি মতো বাদ যাচ্ছে ধানের পরিমান। এখানেও মিল মালিকের অলিখিত রাজ চলছে।তিনি, যেমন বাদ দিচ্ছেন তেমনটাই মানতে হচ্ছে চাষীদের।যদিও মিল মালিকদের দাবী, তারা ন্যায্য মাপেই ধান বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া সারছেন।কারও অভিযোগ থাকলে তা কৃষি দপ্তরে জানাতে পারেন।যদিও চাষীদের দাবী অভিযোগ জানিয়ে কোনো লাভ হচ্ছেনা।তার ওপর এত ছোটাছুটি করতে হচ্ছে যে লাভের গুড় পিঁপড়েতে খেয়ে ফেলার জোগাড়। তার থেকে অনেকেই শেষ পর্যন্ত ফড়েদেরকেই ধানবেচে দিচ্ছেন।

অন্যদিকে, জয়পুর কৃষাণ মান্ডির এক পারচেস অফিসারের দাবী প্রকৃত চাষীকে চিহ্ণত করতেই ব্লক লেভেল ও জেলা লেভেলের নির্দেশ মতো এই নুতন নিয়মে ধান কেনা চলছে।এতে চাষীদদের একটু ছোটাছুটি বেশী করতে হলেও প্রকৃত চাষীরা ধান বেচার সুযোগ পাচ্ছেন।

তবে,বাস্তবে ধান বেচার জন্য এত দফা ছাঁকনি না রেখে চাষীর সনাক্তকরণে আরও সহজ এবং গ্রহণযোগ্য বিধি রাখা যেত,তাহলে চাষীদের হয়রানি অনেকখানিই কমে যেত। বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা।

এখন, দেখার সংশ্লিষ্ট দপ্তর শেষ অবধি এই বিধির কোনো সরলীকরণের পথে হাঁটে কিনা?

#দেখুন ভিডিও।[embed]

Next Story