বিষ্ণুপুরের ফৌজদার বাড়ীতে, "তিন -ঠাকরুনে"র পট আঁকার ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : বিষ্ণুপুরের ফৌজদার বাড়ীতে মল্লরাজ পরিবারের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মৃম্নয়ীর পট আঁকার কাজ চলছে জোর কদমে।
বিষ্ণুপুরের শাঁখারী বাজারে ফৌজদার পরিবারে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। চলছে মল্লরাজাদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী মৃন্ময়ীর তিন ঠাকরুনের পট আঁকার কাজ। কারণ হাতে আর সময় নেই। জিতা অষ্টমীর পরদিন নবমাদিকল্প থেকেই শুরু হয়ে যাবে মল্লভূম বিষ্ণুপুর রাজ বাড়ীর পুজো।
এই পুজোর প্রধান বৈশিষ্ঠ্য হল পটে পুজো।বড় ঠাকরুন, মোজো ঠাকরুন আর ছোটো ঠাকরুন এই তিন ঠাকরুনের পট আঁকার ভার পড়ে ফৌজদার পরিবারের। বংশ পরম্পরায় এই পরিবারের পুরুষরা পট আঁকেন। সেই রীতি আজও চলে আসছে।
এক সময় রাজার সৈন্য দলে কামানের গোলা ফাটাতেন এই ফৌজদাররা। তাদেরই এক পূর্বপুরুষ যুদ্ধ ছেড়ে আঁকা অাঁকি শুরু করেন। তিনিই, মায়ের পট আঁকার প্রথম দায়িত্ব নেন। সেই থেকে একই আদলে পট আঁকছেন ফৌজদাররা। বছর তিনেক হল প্রয়াত হয়েছেন প্রখ্যাত পট শিল্পী ভাস্কর ফৌজদার। তরপর থেকে তার ভাইপোরা আঁকতেন।এখন নাতি সন্দীপ পট আঁকার কাজ করছেন। সন্দীপের পট আঁকার হাতেখড়ি দাদুর হাতে। [playlist type="video" ids="929"]
রাজ নিয়ম মেনে এখানে পট আঁকার কাজ শুরু হয় আষাড় মাস থেকে। শুদ্ধাচারে নিরামিষ আহারে এই পট আঁকতে হয়।
ফৌজদার পরিবারের অন্যতম প্রবীন পট শিল্পী সুবল ফৌজদার জানালেন, নুতন কাপড়ে পট আঁকা হয়। আজও পট আঁকায় কোন কেমিক্যাল রং ব্যবহার করা হয় না। সব প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন : গাছের পাতা,ভুষা কালি,পাথর গুঁড়ো,মাটি এই সব দিয়ে রং তৈরী করা হয়।
জিতা অষ্ঠমীর পর দিন নবমীতে মন্দিরে পট তিনটি স্থাপন করা হয়।
মল্লরাজ পরিবারের সদস্য সলিল সিংহ ঠাকুর বলেন, দূর্গা পুজোর ১৫ দিন আগে থেকেই বিষ্ণুপুরে মল্লরাজবাড়ীর পুজো শুরু হয়ে যায়। এখানে পটে পুজোই মুখ্য। এখন থেকে এই পট আঁকার কাজ চলছে ফৌজদার বাড়ীতে।[playlist type="video" ids="931"]