অক্সিজেনের কালো বাজারি ঠেকাতে শহরে অভিযান, অকারণে বাড়ীতে আটকে রাখা সিলিন্ডার ফেরানোর নির্দেশ ড্রাগ কন্ট্রোলের।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সারা দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে জেলাতেও বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। একই সাথে বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা। জেলা জুড়ে কোভিড হাসপাতালের তুলনায় অনেক বেশী সংখ্যক কোভিড আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে বাড়ীতেই। বাড়ীতে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসাতে সেরেও উঠছেন প্রচুর রোগী।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রোগীর শ্বাসকষ্ট না থাকলেও এবং অনেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও পরিবার পরিজন স্ট্যান্ডবাই হিসেবে অকারণে অক্সিজেন বাড়ীতে আগলে রাখছেন। তিনি নিজের টাকায় সিলিন্ডার ভাড়া মিটিয়ে রাখছেন এটা ঠিকই।যেকেও নিজের টাকা খরচ করে তা রাখতেই পারেন এমন যুক্তিও খাড়া করছেন অনেকে! পাশাপাশি, সিলিন্ডার ভাড়ার টাকা ঠিক,ঠিক পেয়ে যাওয়ায় অক্সিজেন ডিলাররাও এই সিলিন্ডার ফেরাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
যার ফলে শহরে কৃত্রিম অক্সিজেন সঙ্কট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। যাদের,অক্সিজেন খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে তারা হন্যে হয়ে ঘুরেও অক্সিজেন পাচ্ছেন না। এবং সেই সুযোগে কালো বাজারি শুরু হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এই কালোবাজারি বন্ধ করতেই বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা, পোদ্দারপাড়া সহ কয়েকটি এলাকায় অক্সিজেন সরবরাহকারীদের দোকানে ড্রাগ কন্ট্রোলার ও জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট যৌথ ভাবে হানা দেয়।
এবং অক্সিজেন মজুতের পরিমান খতিয়ে দেখার পাশাপাশি,কাদের,কাদের ইস্যু করা হয়েছে ও কিসের ভিত্তিতে তা করা হয়েছে এবং যথাযথ চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন আছে কিনা তাঈ পরীক্ষা করেন আধিকারিকরা। এখানেই উঠে আসে অপ্রোয়জনে বাড়ীতে অক্সিজেন আটকে রাখার ঘটনা।
এরপরই, জেলার ড্রাগ কন্ট্রোলার আকাশ মন্ডল নির্দেশ দেন, অবিলম্বে অকারণে আটকে রাখা অক্সিজেন সিলিন্ডার ফিরিয়ে দিতে হবে। এবং এই জন্য ডিলারদের কাছ থেকে,যারা সিলিন্ডার নিয়ে গেছেন তাদের তালিকাও সংগ্রহ করেন তিনি।
এখন, সারা দেশের সাথে জেলাতেও কোভিড আক্রান্ত রোগীর বাঁচার রসদ অক্সিজেনের সাপ্লাই লাইন ঠিক রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে। তাই প্রয়োজন মিটে গেলে আর অক্সিজেন অযথা আটকে রেখে অন্য একজনের বাঁচার আশা ছিনিয়ে নেবেন না। এটা আমাদের অনুরোধ। আসুন এই অতিমারীর কঠিন সময়ে আমরা সবাই,সবার সাহায্য এগিয়ে এসে কোভিড কে পরাস্ত করি।
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇