জেলায় মারণ ভাইরাস কোভিডের দ্বিতীয় ঢেও আছড়ে পড়ল,বছরের প্রথম দিনেই আক্রান্ত ১২০ জন।এক সপ্তাহে সংক্রমণ ৪১৫ জনের।
গত সাতদিনে জেলায় নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪১৫ জন। যার মধ্যে ১৫ এপ্রিলই ২৪ ঘন্টায় ১২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪ তারিখ এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে আক্রন্তের হার প্রায় দ্বিগুণ।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : করোনার দ্বিতীয় ঢেও এবার আছড়ে পড়ল জেলা জুড়ে। বছরের প্রথম দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা এক ধাক্কায় গিয়ে পৌঁছল ১২০ তে। যা চলতি মাসে নুতন আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে রেকর্ড বলে স্বীকার করে নিচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরও। এদিকে, চলতি সপ্তাহে জেলায় সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সাতদিনে জেলায় নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪১৫ জন।
যার মধ্যে ১৫ এপ্রিলই ২৪ ঘন্টায় ১২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ১৪ তারিখ এই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩ জন। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে আক্রন্ত হলেন দ্বিগুণ ব্যক্তি। ১৩ এপ্রিল নুতন করে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৯ জন।আর ১২ এপ্রিল এই সংখ্যাটা ছিল সপ্তাহের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।এই দিন নুতন করে আক্রান্ত হন ৬৭ জন।
অথচ এপ্রিলের ৩ তারিখ জেলায় নুতন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ৯ জন,৪ তারিখ ছিল ১৪ জন এবং ৫ তারিখ ছিল ১৫ জন। ৬ তারিখ ৯ জন । এবং ৭ ও ৮ তারিখ দুদিনই সংখ্যাটা ছিল ২০ জন করে। ৯ এপ্রিল থেকেই তা বাড়তে থাকে। ওই দিন ২৪ ঘন্টায় নুতন করে কোভিড আক্রান্ত হন ৩৬ জন। এর পর থেকেই জেলায় কোভিড আক্রান্তের গ্রাফ উর্ধমুখী। যা, যথেষ্ট চিন্তার কারণ।
যে হারে বাড়ছে তাতে করে হাসপাতালে বেড পাওয়া দুষ্কর হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আথচ জেলা জুড়ে বিনা মাস্কেই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন মানুষ জন। করোনা সতর্কতা বিধি শিকেই উঠেছে। এই অবস্থায় আমরা সচেতন না হলে জেলায় অতিমারির মোকাবিলা আমাদের সাধ্যের নাগালের বাইরে চলে যাবে।স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব মতো জেলায় এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১২,৬৮৩ জন, মোট সেরে ওঠার সংখ্যা ১২,২১৩ জন। এবং এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৯২ জন। আর জেলায় এই মুহূর্তে এক্টিভ রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৯ জন। তবে জেলায় নুতন করে মৃত্যুর কোন খবর নেই। এটা একটা ভালো দিক। তবে যে হারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে।
তাই শহর থেকে গ্রাম,এমনকি পাড়ায়,পাড়ায় কোভিড সতর্কতা বিধি কঠোর ভাবে মেনে চলার ক্ষেত্রে আমাদের জোর দিতে হবে তা নাহলে করোনার হাত থেকে বাঁচা মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে বলেই বিশেষজ্ঞ মহলের দাবী। তাই আতঙ্কে নয় সতর্ক থাকুন,গুজবে কান না দিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখুন।