কোভিডের তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে তৎপর প্রশাসন,এবার জেলায় চালু মাইক্রো- কনটেনমেন্ট জোন।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবার জেলায় ফিরল মাইক্রো- কনটেনমেন্ট জোন। মুলত কোভিডের তৃতীয় ঢেও আছড়ে পড়ার আগে জেলায় কোভিড সংক্রমণ ঠেকাতে এই উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। জেলার বাঁকুড়া, বিষ্ণুপু ও সোনামুখি এই তিন শহরে ইতিমধ্যেই জোনের সংখ্যা ১৮ ছাড়িয়েছে। আজ বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানের আট নাম্বার সরণিতে নুতন করে সংক্রমণ হওয়ায় সেখানে পুলিস ডিএসপি বিশ্বজিৎ নস্কর ও এসডিও সুশান্ত কুমার ভক্ত,পুলিশ বাহিনী সাথে নিয়ে পৌঁছন। উপস্থিত হন বাঁকুড়া পুরসভার প্রশাসক অলোকা সেন মজুমদার,প্রশাসক বোর্ডের সদস্য গৌতম দাস। এবং সবার উপস্থিতিতে মাইক্রো - কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয় এই আবাসন ও তৎসংলগ্ন পরিসরকে। এবং পুলিশ বাহিনী এই আবাসন ব্যারিকেড করে দেয়।
জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে,বাঁকুড়া পুর এলাকার ২,৯ ১১ প্রভৃতি ওয়ার্ডের প্রতাপবাগান,চাঁদমারীডাঙ্গা, হরেশ্ব্রর মেলা,জগন্নাথ দাস লেন, অরবিন্দনগরের বিভিন্ন বাড়ী ও আবাসন রয়েছে। বিষ্ণুপুর পুর এলাকার ৩,৭,১১,১৪,১৭,১৮ প্রভৃতি ওয়ার্ডের বড়কালীতলা, কলেজরোড,রানারপুকুর, পাত্রপাড়া প্রভৃতি এলাকা রয়েছে। পাশাপাশি সোনামুখি পুর এলাকার ২,১১,১২ এই ওয়ার্ড গুলির বড়ো আখড়া, মসজিদ গোড়া,হকার পল্লী প্রভৃতি এলাকা রয়েছে। টানা ১৪ দিন ধরে এই এলাকা গুলিতে মাইক্রো- কনটেনমেন্ট জোনের বিধি লাগু থাকবে। জোন গুলিতে নজরদারি চালাবে পুলিশ। প্রসঙ্গত, কোভিডের প্রথম পর্বে ব্রড কনটেনমেন্ট জোনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলায়। পরে এই জোন কনসেপ্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসলেও এবার ব্রড কনটেনমেন্ট জোনের পরিধি কমিয়ে অর্থাৎ পুরো এলাকা বা পাড়ার বদলে যে আবাসন বা বাড়ীতে একাধিক ব্যক্তি কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ওই পরিসরেই আটকে রাখতে এবং অন্যদের সাথে তাদের সংস্পর্শ এড়াতেই মাইক্রো - কনটেনমেন্ট জোনের কনসেপ্ট এবার কলকাতার আদলে বাঁকুড়াতেও চালু করা হল। এর ফলে কোভিড সংক্রমণ আনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৫ তারিখ থেকে জেলার পুর এলাকা গুলিতে এটা চালু হয়েছে। প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে,যে এই মাইক্রো - কনটেনমেন্ট জোন চালুর মাধ্যমে কোভিড ভাইরাসের চেন কে ভেঙ্গে ফেলার কাজ সহজ হবে এই ভাবনা থেকেই জেলাতে এক লপ্তে অনেকগুলি বাড়ী বা আবসনকে জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇