কোভিড কড়চা

বাড়ল কোভিড রোগীর খাবারে বরাদ্দ, কি,কি থাকছে মেনুতে জেনে নিন।

রাজ্য সরকার এক ধাক্কায় কোভিড হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের খাবারের জন্য বরাদ্দ ২৫ টাকা বাড়িয়ে দিল। ফলে এবার কোভিড রোগীদের খাবারের মেনুতেও ঘটছে আমূল পরিবর্তন। আগে খাবারের জন্য রোগী প্রতি দিন বরাদ্দ ছিল ১৫০ টাকা। তা এখন বেড়ে হল ১৭৫ টাকা। আর এই বরাদ্দ বাড়ায় সকাল ও বিকেলে থাকছে চা, বিস্কুটের ব্যবস্থাও। তাছাড়া ব্রেকফাস্টে ডিম,মিলে দুবেলা মাছ বা মাংস, দই এসব তো থাকছেই। রোগী নিরামিষ ভোজী হলে মাছ, মাংসের পরিবর্তে পনীর,মাশরুম বা সোয়াবিনের পদ মিলবে।

বাড়ল কোভিড রোগীর খাবারে বরাদ্দ, কি,কি থাকছে মেনুতে জেনে নিন।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এবার জেলার কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবারের মেনু সবারই নজর কাড়বে! এক ধাক্কায় ২৫ টাকা বরাদ্দ রাজ্য সরকার বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে কার্যত ভুরি ভোজের আয়োজন থাকছে কোভিড রোগীদের জন্য। আগে দিনে রোগী প্রতি বরাদ্দ ছিল ১৫০ টাকা। আর এখন ২৫ টাকা বেড়ে তা হল ১৭৫ টাকা। আর এর সাথে মেনু তালিকাতে যুক্ত হল সকাল,বিকাল চা, বিস্কুট। এর আগে বারে,বারে কোভিড রোগীদের খাবারের গুণগত মান নিয়ে বা খাবারের পরিমান নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। এবার তাই বরাদ্দ বাড়িয়ে খাবারের মান ও পরিমান দুইই বজায় রাখার ওপর গুরুত্ব দিল সরকার। পাশাপাশি মেনুর তালিকাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে মেনু তালিকায় কোন কাট ছাট হলেই রোগীরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। এবং সরকার এক্ষেত্রে অভিযোগ খতিয়ে দেখে কড়া ব্যবস্থাও নেবে। তাই কোভিড রোগী ও তাদের বাড়ীর লোক জন জেনে নিন ঠিক কি,কি রয়েছে এই মেনু তালিকায়?

আসুন,জেনে নেওয়া যাক:

প্রথমেই সকাল দিয়েই শুরু করা হোক। একে বারে সাতসকালে থাকছে চা ও দুটো বিস্কুট, তার পর ব্রেকফাস্ট। ব্রেকফাস্টে থাকছে চার পিস পাঁউরুটি,সেদ্দ ডিম একটি, কলা ও ২৫০ মিলি লিটার দুধ। দুপুরের খাবেরে মিলবে ১৫০ গ্রাম ভাত, ৫০ গ্রাম ডাল,৯০ গ্রাম ওজনের মাছ বা মাংস, দই ১০০ গ্রাম। এছাড়া তরকারিও থকছে। এর পর বিকেল বেলায় ফের চা ও দুটো বিস্কুট। আর রাতে ১০০ গ্রাম ভাত বা রুটি, ডাল ৫০ গ্রাম,৭৫ গ্রাম তরকারি এবং ১০০ গ্রাম মাছ অথবা মাংস। আর রোগী নিরামিষ ভোজী হলে মাছ বা মাংসের বদলে তিনি পনীর, মাশরুম বা সোয়াবিনের পদ মিলবে। কোভিড রোগীদের জন্য এই খাদ্য তালিকা মেনে রাজ্যের কোভিড হাসপাতাল গুলোয় রোগীদের খাবার সরবরাহ করা হবে।

রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই এই খাবারের মেনু ঠিক করেছে সরকার। ফলে, এবার থেকে কোভিড রোগীদের খাবারের গুণগত মান নিয়ে বিতর্কের অবসান হল তা বলাই বাহুল্য।

তাসত্ত্বেও যদি জেলার কোভিড হাসপাতালে এই মেনু তালিকায় কোন গরমিল থাকে বা খাবারের গুনমান নিয়ে অভিযোগ থাকে, তাহলে তা অবশ্যই সরকারি আধিকারিক বা সংবাদ মাধ্যমের নজরে আনবেন। কারণ সবাই চাই সরকারের বরাদ্দ অনুযায়ী প্রাপ্য খাবার থেকে যেন কোনো কোভিড রোগী বাঞ্ছিত না হন। তাই এক্ষেত্রে সকলে সজাগ থাকুন।

Next Story