কোভিড কড়চা

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেওয়ে সারা দেশে অক্সিজেন সঙ্কট ! ঘাটতি মেটাতে বড়জোড়ার এই প্ল্যান্টে চলছে যুদ্ধ কালীন তৎপরতা।

কোভিডের দ্বিতীয় ঢেওয়ে সারা দেশে অক্সিজেন সঙ্কট ! ঘাটতি মেটাতে বড়জোড়ার এই প্ল্যান্টে চলছে যুদ্ধ কালীন তৎপরতা।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : দেশে মেডিকেল লিকুইড অক্সিজেনের (LMO) কোভিড পরিস্থিতির আগে যেখানে দৈনিক ৭০০ টন চাহিদা ছিল তা গত বছর কোভিড হানার পর বেড়ে চারগুন দাঁড়ায়। অর্থাৎ একবছরের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়ায় দৈনিক ২৮০০ টন। আর এবার সারা দেশজুড়ে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেও আছড়ে পড়ার কিছুদিনের মধ্যে তা হু,হু করে বাড়তে থাকে যা অঙ্কের হিসেবে ৭ গুণ বেশী।


অর্থাৎ দৈনিক সারা দেশে এখন অক্সিজেনের চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০০০ টন (5000 TPD)।এই অবস্থায় সারা দেশের বৃহত্তম অক্সিজেন উৎপাদন সংস্থা আইএনওএক্স এয়ার প্রোডাক্টস লিমিটেড তাদের প্ল্যান্টগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

এই সংস্থারই একটি প্ল্যান্ট রয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোড়ার প্লাসটো স্টিল পার্কে। এই প্ল্যান্ট থেকে রাজ্যের তিন হাসপাতাল এম,আর বাঙ্গুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল,এম,আর,বাঙ্গুর জেলা হাসপাতাল ও বেলেঘাটা আইডি এন্ড বিজি হাসপাতালেও অক্সিজেন সরবরাহ করে।


এছাড়া এরাজ্যের বেশকিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোম সহ ভিন রাজ্য ঝাড়খন্ড,উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে সরবরাহ হয়। এছাড়াও এরাজ্যের অনেক অক্সিজেন ব্যবসায়ী এখান থেকে অক্সিজেন ট্যাংক নিয়ে গিয়ে তা সিলিন্ডারে ভরে বিক্রি করেন। যদিও এই প্ল্যান্টে বাঁকুড়া জেলার কোন বাল্ক কাস্টমার নেই। তবে সারা দেশের অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে উৎপাদন মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদন বন্ধ রেখে কেবল মেডিকেল লিকুইড অক্সিজেন উৎপাদন করছে সংস্থা। দৈনিক সর্বাধিক ২০০ টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বড়জোড়ার এই প্ল্যান্টে অন্য সময় দৈনিক গড় উৎপাদন ১৫০ টনের আসেপাশে থাকত। তা গত কদিনে বাড়িয়ে ১৮০ টন করা হয়েছে। এমনকি আর কয়েকদিনে তা সর্বোচ্চ মাত্রায় পোঁছে যাবে বলেও সংস্থার দাবী। এখন দিন -রাত এক করে যুদ্ধ কালীন তৎপরতায় উৎপাদন চলবে। এই সংস্থার ডাইরেক্টর সিদ্ধার্থ জৈন জানিয়েছেন, তার সংস্থা দেশের ৬০ শতাংশেরও বেশী মেডিকেল অক্সিজেন চাহিদা পুরণের জন্য সব প্ল্যান্ট গুলিতে দৈনিক উৎপাদন মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।


এদিকে, বাঁকুড়া জেলায় এই সংস্থার কোন বাল্ক কাস্টমার না থাকলেও অপদকালীন চাহিদা পুরণে এগিয়ে আসার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বড়জোড়া প্ল্যান্ট থেকে জেলার অক্সিজেনের চাহিদা মেটানোর জন্য সংস্থার দরজা খোলা রয়েছে।

👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story