মে মাসের মাঝামাঝি কোভিড সংক্রমণ শীর্ষে ওঠার আশঙ্কা, তাই জেলায় কোভিড হাসপাতেলে তিনগুণ বেড বাড়ানোর দাবী এসডিএফের।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : সারা দেশের সাথে বাঁকুড়া জেলা জুড়েও কোভিড পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিতে চলেছে! এই অবস্থায় জেলাতেও কোভিড রোগীর চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বেডের ঘাটতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে, বিশেষজ্ঞ মহলের দাবী, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কোভিড এর দ্বিতীয় ঢেও চুড়ান্ত আকার নেবে। সেই সময় শীর্ষে উঠবে সংক্রমণের মাত্রা।
গড়ে দেশে দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে গ্রাম,শহর সর্বত্র আছড়ে পড়বে কোভিডের ঢেও। তাই হাতে বেশী সময় নেই। তার আগে,ভাগেই বাঁকুড়ায় কোভিড রোগীর বেড তিন গুণ বাড়ানোর দাবীতে সরব হল চিকিৎসকদের সংগঠন সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস ইমেল করে এই দাবীপত্র পাঠালেন ডিএমইকে।
পাশাপাশি,দাবী তোলা হয়েছে সঙ্কটজনক কোভিড রোগীদের জন্য বাঁকুড়ায় লেভেল ফোর বেড অবিলম্বে চালু করার। বাঁকুড়ায় লেভেল ফোর বেডের কোন ব্যবস্থা নেই। আর এই স্টেজের কোভিড রোগীদের কলকাতা স্থানান্তরিত করাও সম্ভব নয়। তাই কার্যত বিনা চিকিৎসায় এই রোগীকে মারা পড়তে হবে।
তাই এই সমস্যা মেটাতে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে লেভেল ফোর স্টেজের বেড চালু করারও দাবী তোলা হয়েছে। লেভেল ফোর বেড সহ বাঁকুড়া মেডিকেলে অন্তত ২০০ বেডের কোভিড ওয়ার্ড চালু করারও দাবী জানানো হয়েছে ডক্টরস সার্ভিস ফোরামের পক্ষ থেকে। এমনটাই জানালেন, সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস।
এদিকে,জেলাতে মৃত্যু ও সংক্রমণের হার দুইই বাড়ছে। ওন্দা কোভিড হাসপাতালে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেও আছড়ে পড়ার পর থেকে এপর্যন্ত ৮ কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও তা কোভিড বুলেটিনে আপডেড় হয়নি। তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ২০ এপ্রিল জেলায় নুতন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৯ জন। জেলাতেও অক্সিজেনের টান ধরতে শুরু করেছে।
চাহিদা মতো যোগান নেই কোভিড চিকিৎসায় কার্যকরী রেমডেসিভির ইঞ্জেকশনেরও যোগানে ঘাটতি রয়েছে বলে খবর। এই অবস্থায় কোভিড মোকাবিলায় আম আদমীর কাছে সতর্কতায় মুল অস্ত্র। এমনটাই দাবী কোভিড বিশেষজ্ঞদের।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজ সুত্রে খবর, শীঘ্রই বাঁকুড়া মেডিকেলে অন্তত ১০০ বেডের কোভিড ওয়ার্ড চালু হয়ে যাবে। তার প্রস্তুতি চলছে। এটা চালু হলে কিছুটা হলেও কোভিড চিকিৎসা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। এছাড়াও মৃদু উপসর্গের রোগীদের সেফ হাউসে রেখে চিকিৎসার জন্য জেলার প্রতি ব্লকে সেফ হাউস তৈরীর কথাও ভাবা হচ্ছে। এখন দেখার কত তাড়াতাড়ি এগুলি বাস্তব রুপ পায়। যত তাড়াতাড়ি এগুলি চালু হবে,ততই হয়রানি কমবে জেলার কোভিড রোগীদের তা বলাই বাহুল্য।
👁️ দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇