বুধবারও ভারী বৃষ্টি জেলায়,হলুদ সতর্কতা হাওয়া অফিসের।
ইতিমধ্যে জেলায় ১২ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।বিপদজনক কাঁচা বাড়ি থেকে প্রায় ৯০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।ত্রাণ শিবিরে আছেন ১১৬ জন। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখাছে জেলা প্রশাসন। এবং প্রতি ৫ ঘন্টা অন্তর রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে নবান্নে।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বুধবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলা জুড়ে। বাঁকুড়া জেলায়,হলুদ সতর্কতাজারি করেছে হাওয়া অফিস। ভারি বৃষ্টির জেরে জেলার সোনামুখী ও বড়জোড়া ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।অন্যদিকে, মুকুটমণিপুর জলাধার থেকেও বাড়তে পারে জল ছাড়ার পরিমান। মঙ্গলবার মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে ২০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। জেলা সেচ দপ্তর সুত্রে জানাগেছে, মুকুটমণিপুর ড্যামের দুটি প্রধান সেচ ক্যানেল দিয়েও জল ছাড়া হয়েছে। ফলে কংসাবতীর সেচ সেবিত এলাকাগুলি প্লাবিত হতে পারে।এদিকে মঙ্গলবার ডিভিসি খানিক কম জল ছেড়েছে।
তবে, বুধবার বৃষ্টি বাড়লে জল ছাড়ার পরিমান বাড়বে৷ জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গেছে মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশো কাঁচা বাড়ি পুরোপুরি ভেঙ্গে গেছে।আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪৩৭ টি বাড়ি। সারা জেলায় প্রায় ১৩ হাজার ৬৮০ টি কাঁচা বাড়ি পরিদর্শন করেছেন সরকারি আধিকারিকরা।ইতিমধ্যে জেলায় ১২ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।বিপদজনক কাঁচা বাড়ি থেকে বিপদ এড়াতে প্রায় ৯০০ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে।ত্রাণ শিবিরে আছেন ১১৬ জন। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজর রাখাছে জেলা প্রশাসন। এবং প্রতি ৫ঘন্টা অন্তর রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে নবান্নে।ব্লক গুলিতে ককজারি করা হয়েছে সতর্কতা।
পাশাপাশি,সবজি,ফসল, চাষ আবাদ ও বাড়ি ঘর ভাঙ্গা নিয়ে কত আর্থিক ক্ষয়,ক্ষতি হয়েছে তা জরিপের কাজও চলছে।
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇