ব্রেকিং নিউজ

সুস্থদের রোগী সাজিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভুয়ো বিল, হাজার,হাজার টাকা গায়েব, জেলার তিন নার্সিং হোমকে শোকজ, জারী ক্লোজার নোটিশ।

সুস্থ ব্যক্তিদের রোগী সাজিয়ে দিন ১০-১২ ভর্তি রেখে, তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিল করত। আর তার বিনিময়ে ওই ব্যক্তির যাতায়াত ও খাওয়া খরচ ছাড়াও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হত। আর গ্রামে,গ্রামে দালালরা এই রোগীদের ধরে নিয়ে আসত। আবার কখনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে সেখান থেকে উপভোক্তা ধরে এনে মোটা টাকা বিল করা হত।

সুস্থদের রোগী সাজিয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভুয়ো বিল, হাজার,হাজার টাকা গায়েব, জেলার তিন নার্সিং হোমকে শোকজ, জারী ক্লোজার নোটিশ।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের ভুয়ো বিলে হাজার, হাজার টাকা গায়েব হচ্ছিল দিনের পর দিন। সব মিলিয়ে এই দুর্নীতির বহর কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর এই কান্ডে নাম জড়াল বাঁকুড়া জেলার তিনটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে স্বাস্থ দপ্তর তিনটি প্রতিষ্ঠানকেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে রোগী ভর্তিও বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ঠিক কত টাকার দুর্নীতি? তাও খতিয়ে দেখছে স্বাস্থ্য দপ্তর। তদন্তে নেমে এও প্রকাশ্যে এসেছে যে, ওন্দার আনন্দময়ী নার্সিং হোমের গত তিন বছর আগে নার্সিং হোমের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তারা দিব্যি অবৈধ ভাবে নার্সিংহোম চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এবং স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সুস্থ্যদের রোগী সাজিয়ে চিকিৎসার নামে টাকা তুলছিল। এই নার্সিংহোমটিকে এদিন বন্ধের নোটিশ জারি করে স্বাস্থ্য দপ্তর। এই দূর্নীতির জাল বাঁকুড়ার পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। গোয়ালতোড়ের এক উপভোক্তার ছেলেই প্রথম এই দুর্নীতির অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে স্বাস্থ্য দপ্তর পুরো দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করে। জানা যায়,সোনামুখীর বিজয়কৃষ্ণ নার্সিং হোম,গ্লোকাল হাসপাতাল, এবং ওন্দার রামসাগরের আনন্দময়ী নার্সিং হোম সুস্থ ব্যক্তিদের রোগী সাজিয়ে দিন ১০-১২ ভর্তি রেখে তাদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা বিল করত।

আর তার বিনিময়ে ওই ব্যক্তির যাতায়াত ও খাওয়া খরচ ছাড়াও ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দেওয়া হত। আর গ্রামে,গ্রামে দালালরা এই রোগীদের ধরে নিয়ে আসত। আবার কখনও গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করে সেখান থেকে উপভোক্তা ধরে এনে মোটা টাকা বিল করা হত। গত ২২ ও ২৩ জুন বাঁকুড়ার পাশাপাশি গোয়ালতোড়ে গিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তারা তদন্তে এই সব তথ্য জানতে পারেন। এবং এই বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে শোকজ করা হয়। সোনামুখীর গ্লোকাল হাসপাতাল ও বিজয়কৃষ্ণ নার্সিংহোম কতৃপক্ষের দাবী, তারা শোকজের উত্তর দিয়ে দিয়েছেন। এবং তারা কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত নন।যদিও স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের দাবী, আসলে এটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা। কিন্তু তা বিফলে যাবে।

পুরো দুর্নীতির জাল কতটা বিস্তার করেছে? কে,কে জড়িয়ে আছে সব তদন্তে উঠে আসছে। এমনকি জেলার অন্যান্য নার্সিং হোম বা হাসপাতাল গুলো এমন কান্ডে জড়িয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও এক লপ্তে অনেক সংখ্যক রোগী নন স্পেসিফিক উপসর্গ বা রোগ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করালে তখন তা তদন্ত করে দেখবে স্বাস্থ্য দপ্তর। এবং স্বাস্থ্য শিবির করে একসাথে প্রচুর রোগীকে চিকিৎসা করে বিল করলে তাও খতিয়ে দেখা হবে।বাঁকুড়ার পাশাপাশি সারা রাজ্য জুড়েই এই তথ্য খতিয়ে দেখা হবে বলে স্বাস্থ্য ভবন সুত্রে জানা গেছে। এখন দেখার ঝুলি থেকে আর কত বেড়াল বেরিয়ে পড়ে! এবং এই কান্ডের পিছনে বড়ো কোন সিন্ডিকেট জড়িয়ে আছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇



Next Story