৯ টি তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বড়োঠাকুরাণীর পট অভিষেক। আজ থেকেই মল্লভূমে শুরু দূর্গাপূজা।
#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : কামানের তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের দূর্গা পূজা।
জিতা অষ্টমীর পর নবম্যাদি কল্পে বড়ো ঠাকুরাণীর পট স্থাপনের সাথে, সাথে ১৫ দিন আগে থেকেই রাজ রীতি মেনে শারদোৎসবের আনুষ্ঠানিক সুচনা হল পুরো মল্লভুম জুড়ে।
বিষ্ণুপুরের ফৌজদার বাড়ী থেকে আঁকা বড়ো ঠাকুরাণীর পট স্নানাভিষেকের পর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করালেন মল্লরাজ বংশের কূল পুরোহিতরা।
নিয়ম মতো, আজ নবম্যাদি কল্পে বড়ো ঠাকুরাণীর পট অভিষেক ঘটে।এর পর চতুর্থীতে মেজো ঠাকরুণের এবং সপ্তমীতে ছোটো ঠাকরুণের পট স্থাপন হয়। তিনটি পটে পূজিত হন তিন দেবী।
আজ থেকে উৎসবের যে সূচনা হল তা দ্বাদশীর দিন রাবন কাটার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
মল্ল রাজের শাসন কালে দেবীপক্ষ পড়ার দিন থেকেই শারদোৎসবের আনন্দে মাততেন মল্লভূমের সকল অধিবাসী।
তবে, রাজা নেই!রাজ্যপাটও নেই! তাই, দিনে,দিনে আভিজাত্য ও জৌলুষ হারাচ্ছে এই প্রাচীন পূজো।
কেবল পরম্পরা মেনে, রাজ পরিবারের সদস্যরা পূজো কোনোক্রমে টিকিয়ে রেখেছেন।
এখনও রাজ পরিবারের নিয়ম,নিষ্ঠায়,রাজ পুরোহিতের লেখা পু্ঁথি পড়েই দেবী মৃন্ময়ীর পূজো হয়।
মহা অষ্টমীর সন্ধিপূজোর কামানের তোপ,এবং নবমীর নিশুতি রাতে খচ্চর বাহিনীর অাবাহন এই রাজ পরিবারের পূজোর মূল বৈশিষ্ট্য।
#দেখুন ভিডিও
[embed]