চাষ- আবাদ

ভরা শীতেই জেলায় খরার আশঙ্কা ! বাঁকুড়া সদর ও খাতড়া মহকুমা মিলিয়ে ৯টি ব্লকের বহু মৌজায় ব্যাপক মার আমন চাষে!

ভরা শীতেই জেলায় খরার আশঙ্কা ! বাঁকুড়া সদর ও খাতড়া মহকুমা মিলিয়ে ৯টি ব্লকের বহু মৌজায় ব্যাপক মার আমন চাষে!
X

#বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : ভরা শীতেই এবার জেলায় খরার আশঙ্কা করছে জেলার কৃষি দপ্তর!

বৃষ্টিপাতের ঘাটতির জেরে জেলার অন্ততঃ ৯টি ব্লকে ব্যাপক আমন ধান চাষ মার খেয়েছে! যার মধ্যে বাঁকুড়া সদর ও জঙ্গল মহলের খাতড়া মহকুমার ব্লক গুলির প্রচুর মৌজা রয়েছে। তুলনায় বিষ্ণুপুর মহকুমায় ক্ষতির পরিমান অনেক কম বলে কৃষি দপ্তর দাবী করেছে।

দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়া সদরের বাঁকুড়া-১,বাঁকুড়া-২,ছাতনা,শালতোড়া, গঙ্গাজলঘাটির পাশাপাশি জঙ্গল মহলের ইঁন্দপুর,হীড়বাঁধ,রাণীবাঁধ, খাতড়া ব্লকের প্রচুর মৌজার হাল শোচনীয়!

খরা ঘোষনার মাপকাঠি হল, কোনে মৌজার ৩৩℅ চাষ জলের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, তখন সেই মৌজাকে খরা কবলিত বলে ঘোষনা করা হয়।

এখন সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতেই জেলা জুড়ে মৌজাওয়াড়ী হিসেব কষতে মাঠে নেমে পড়েছেন জেলার কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।

এমনকি, জঙ্গলমহলের পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে শনিবার খাতড়া মহকুমার বিভিন্ন মৌজায় চষে বেড়ান খোদ জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা সুশান্ত মহাপাত্র।

পাশাপাশি, জেলার প্রতি ব্লক থেকে সহ কৃষি অধিকর্তাদের ৩০ অক্টেবরের মধ্যে সর্ব শেষ পরিস্থিতি জেলাকে জানাতে হবে বলে নির্দেশ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।

তার ভিত্তিতে, রাজ্যে রিপোর্ট পাঠানে হবে। এই রিপোর্টের পর্যালোচনার পরই খরা কবলিত মৌজার ঘোষনা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জেলায়, এই বছর আমন চাষের লক্ষ্য মাত্রা ছিল ৩ লক্ষ ৮০ হাজার হেক্টর। সেখানে এখনও ধান রোয়াই হয়নি ২০ হাজার হেক্টর জমিতে। এর প্রধান কারন বৃষ্টিপাতের ঘাটতি। এবছর এ পর্যন্ত বৃষ্টিপাতে জেলায় ঘটতির পরিমান প্রায় ৫৪০ মিলি।যার।

যার জেরে, প্রায় ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে জলের অভাবে আমন চাষ কার্ষত শিকেয় উঠেছে।

ভরা শীতে খরার আশঙ্কায় জেলার চাষীদের মাথায় হাত! মহাজনের কাছে ধার করে ধান লাগিয়ে এখন প্রচুর সংখ্যক চাষী দিশেহারা। কারন,তাদের জমির ধান হলুদ হয়ে মরতে বসেছে। যা,গরু,ছাগল কে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে লাগবে না।

তাই, তারা এই অবস্থায় বিকল্প চাষে সহায়তা ও আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবী তুলেছেন।

অন্যদিকে, জেলার চাষী থেকে কৃষি আধিকারিক সবার নজর শেষ পর্যন্ত কতগুলি মৌজাকে খরা কবলিত হিসেবে তকমা দেয় রাজ্য সরকার! তার ওপরই চাষীদের রুজি,রুটি চালানোর বিষয়টি নির্ভর করছে।

Next Story