কেন তৃণমূলের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান দিলীপ আগরওয়াল?খোলসা করলেন তিনি নিজেই।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার বিদায়ী বোর্ডের উপ পুরপ্রধান পদে ছিলেন দিলীপ আগরওয়াল।পাশাপাশি দল তাকে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্রেরও দায়িত্ব দিয়েছিল সেই সময়। সাফল্যের সাথে নিজের কাজ করে গেলেও এবার আর দল তাকে প্রার্থীপদ দেয়নি।শুধু দিলীপ বাবুই নন।তার সাথেই পুরপ্রধানের দায়িত্বে থাকা মহাপ্রসাদ সেনগুপ্তকেও প্রার্থী করেনি দল। মহাপ্রসাদ বাবু দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়ার থেকে বিরত থাকলেও দিলীপ বাবু সেই পথে হাঁটেননি। বরং সাত নাম্বার ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রয়াত তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান শান্তি সিংহের পুত্র বিশ্বনাথ সিংহের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াইয়ে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সারা শহর জুড়ে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন।
একদা তৃণমূলের অনুগত এই সেনাপতি কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন তা আজ সংবাদ মাধ্যমে খোলসাও করলেন দিলীপ বাবু।এদিন বিকেলে সতীঘাটের ছিন্নমস্তা মন্দিরে প্রার্থনার পর ওয়ার্ডে ভোটের প্রচার শুরু করেন তিনি।দুয়ারে ভোট প্রচারে গেলে ভোটাররাও দিলীপ বাবুকে দলের টিকিট না দেওয়ায় সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন। এদিকে, দিলীপ বাবু সংবাদ সাফ জানিয়ে দেন তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হয়েছে। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন। তাই পালটা জবাব দিতেই দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নেমে পড়লেন। তার দাবী এই ওয়ার্ডে কঠিন প্রতিপক্ষ কেও নেই। তাই ফাঁকা মাঠেই খেলা হবে বলে তৃণমূল কে কার্যত কটাক্ষও করেন এই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন উপ পুরপ্রধান।
প্রসঙ্গত,সাত নাম্বার ওয়ার্ডে গত পুর ভোটে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের রাজু বাউরী।এবারও তিনি প্রার্থী হয়েছেন।পাশাপাশি,তৃণমূল, জাতীয় কংগ্রেস এবং বিজেপি প্রার্থীর সাথে লড়াই করতে হবে দিলীপ বাবুকে।শহরের রাজনৈতিক বোদ্ধাদের অভিমত এই ওয়ার্ডে ভোট কাটাকুটির অঙ্কই জয়- পরাজয়ের মুল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
👁️দেখুন 🎦 ভিডিও। 👇