বাঁকুড়ার এই গ্রামে সরস্বতীর সাথে পুজিত হন লক্ষ্মী,গনেশ, কার্তিক ও ভগবতী,চলে ৮ দিনের মেলা,দেবীকে নিবেদন করা হয় কাঁঠাল।
রতনপুরে দুর্গাপূজা ব্রাত!পরিবর্তে এখানে চলে ৮ দিনের সরস্বতী বন্দনা। বিশ্বাস পাড়ায় রয়েছে দেবীকে কাঁঠাল ভোগ নিবেদনের প্রথা।বিশালাকার কাঁঠাল মাথায় করে ঢাক বাজিয়ে চলে গ্রাম পরিক্রমার পর দ্বাদশীর দিন তা ভেঙে দেবীকে নিবেদন করা হয়।অন্যদিকে, দাসপাড়ায় পুজোয় দ্বাদশীর দিন অন্ন ভোগ বিতরণের প্রথা চলে আসছে।
বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন (অভিজিৎ ঘটক,রতনপুর): বাঁকুড়া জেলার রতনপুর গ্রামে ব্রাত শারদীয়া দুর্গাপূজো।তাই শারদ উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে এই গ্রামে সরস্বতী পুজোর দিন থেকে টানা ৮ দিনের মেলায় মাতেন গ্রামের মানুষ। গ্রামের দাস ও বিশ্বাস এই দুই পাড়ায় চলে আট দিনের বাগ দেবীর আরাধনা। দুই পাড়াতেই দেবী সরস্বতী একা আসেন না। সাথে থাকেন ভগবতী অর্থাৎ দেবী দুর্গা এবং লক্ষ্মী, গনেশ ও কার্তিক। এক চালার দুর্গা প্রতিমার আদলে দুই মেলাতেই দেবী সরস্বতীর বিগ্রহ তৈরী করা হয়। তবে প্রতিমায় এখানকার বিশেষত্ব হল দুই মন্ডপেই দেবী সরস্বতী থাকেন মাঝখানে।কথিত আছে, এই গ্রামে দেবী অম্বিকার সিংহবাহিনী চতুর্ভূজা মুর্তি পুজিত হন বলে দুর্গা প্রতিমার পুজো নিষিদ্ধ। ফলে দুর্গাপূজায় মাঠের মধ্যে দেবী অম্বিকাকেই দুর্গা রূপে আরাধনা করা হয়।
দুর্গাপুজোর আনন্দ তাই শ্রী পঞ্চমীতে পুষিয়ে নিতেই গ্রামের পূর্বপুরুষেরা এই ৮ দিনের সরস্বতী পুজোর প্রচলন করেন।সেই থেকে প্রায় তিনশো বছরেরও বেশী সময় ধরে এই পুজো চলে আসছে গ্রামের বিশ্বাস ও দাস পাড়ায়।আট দিনের এই সরস্বতী পূজো উপলক্ষ্যে চলে মেলা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।বিশ্বাস পাড়ায় রয়েছে দেবীকে কাঁঠাল ভোগ নিবেদনের অভিনব প্রথা। বিশালাকার কাঁঠাল মাথায় করে ঢাক বাজিয়ে চলে গ্রাম পরিক্রমা। এরপর দ্বাদশীর দিন এ কাঁঠাল ভেঙে নিবেদন করা হয় দেবীকে।অন্যদিকে, দাসপাড়ায় পুজোর বিশেষত্ব হল দ্বাদশীর দিন অন্ন বিতরণ। এদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয় দাসপাড়ায়। তারা দেবীর অন্ন ভোগ গ্রহণ করেন।
এই অভিনব সরস্বতী পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে আপনিও পাড়ি দিতে পারেন রতনপুর গ্রামে।
👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇