শহর বাঁকুড়া

সাঁকো না সুড়ঙ্গ?গন্ধেশ্বরী নদী পাড়ের প্রচীন নির্মানশৈলী নিয়ে ধন্দ কাটেনি,উঠছে পুরাতাত্ত্বিক গবেষণার দাবী।

সাঁকো না সুড়ঙ্গ?গন্ধেশ্বরী নদী পাড়ের প্রচীন নির্মানশৈলী নিয়ে ধন্দ কাটেনি,উঠছে পুরাতাত্ত্বিক গবেষণার দাবী।
X

বাঁকুড়া২৪X৭ প্রতিবেদন : গত বর্ষার থেকেই গন্ধেশ্বরীর পাড় ভাঙ্গতে শুরু করেছিল।সেই ভাঙ্গনের জেরেই আবিষ্কার হল এক রহস্যময় প্রাচীন নির্মানেএ। ইট আর চুনসুরকি দিয়ে তৈরি এই খিলান অনেকটা সাঁকোর আদলে তৈরী। আবার মুখের দিকে খানিক দরজার আঙ্গিকেরও মিশেল রয়েছে।তাই বাঁকুড়ার সানবাঁধা গ্রাম পঞ্চায়েতের খয়রা পাড়ার পৌই গড়া সংলগ্ন গন্ধেশ্বরী পাড়ের এই প্রাচীন নির্মানটি হারং (অর্থ সাঁকো) না হুরং (অর্থ সুড়ঙ্গ) তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না।তবে গ্রামের বেশীর ভাগ মানুষের দাবী এই নির্মান আসলে খিলানের গঠনশৈলীতে তৈরী সাঁকোর আদলে জল পারাপারের ব্যবস্থা।যা পুর্বপুরুষেরা অনেক কাল আগে প্রচলন করেন।

তারা আরও জানান,এমন নির্মান গ্রাম লাগোয়া নদী পড় বরাবর আরও মিলতে পারে। তা পাড় ভাঙ্গলেই টের পাওয়া যাবে বলে তাদের অনুমান। অন্যদিকে, অনেকে আবার সুড়ঙ্গের তত্ত্বও খাড়া করছেন। তাদের দাবী প্রায় কুড়ি ফুটের বিস্তার এবং প্রায় চার ফুট বাই আড়াই ফুটের প্রবেশ দ্বারের আদল এটিকে সুড়ঙ্গ বলেই প্রমাণ করে।এখনও এই নির্মানের প্রকৃত পরিচিতি সরকারী ভাবে মেলেনি।আর পুরাতাত্ত্বিক সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না মিললে এই প্রাচীন নির্মান নিয়ে নানা জল্পনা থেকেই যাবে।এদিকে জেলা প্রশাসন আগাম সুরক্ষা মুলক ব্যবস্থা হিসেবে এই নির্মানের ফাঁকা অংশ বালি ভর্তি বস্তা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

তবে, এই নির্মান প্রসঙ্গে কোন পুরাতাত্ত্বিক তথ্য মেলেনি।যদিও এই খিলানের গঠনশৈলী দেখা মনে করা হচ্ছে এই নির্মান বৃটিশ আমলের।এই সবকিছুই আনুমানিক। তাই স্পষ্ট তথ্য সংগ্রহে এই নির্মান নিয়ে পুরাতাত্ত্বিক গবেষণার দাবী উঠছে।

👁️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇



Next Story