শহর বাঁকুড়া

পারিবারিক কালীপুজো করতে,করতে ভাবে বিভোর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,মাতৃ মূর্তি জড়িয়ে কেঁদে ভাসালেন তিনি।

রাজনৈতিক নানান ব্যস্ততা এড়িয়ে কালীপূজোর কটা দিন তিনি চলে আসেন বাঁকুড়ার পৈতৃক বাড়িতে।এবং এই বাড়ির কালী মন্দিরে পুজোও সারেন নিজে হাতে। এবছর দেবীর আরাধনার মধ্যেই ভাবে বিভোর হয়ে পড়েন এই তৃণমূল সাংসদ। এবং মাতৃ মূর্তি জটিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।

পারিবারিক কালীপুজো করতে,করতে ভাবে বিভোর সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়,মাতৃ মূর্তি জড়িয়ে কেঁদে ভাসালেন তিনি।
X

বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : প্রতি বছর বাঁকুড়া শহরের মোলডুবকায় নিজেদের পারিবারিক কালি মন্দিরে নিজে হাতে পুজো করেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক নানান ব্যস্ততা এড়িয়ে কালীপূজোর কটা দিন তিনি চলে আসেন বাঁকুড়ার পৈতৃক বাড়িতে।এবং এই বাড়ির কালী মন্দিরে পুজোও সারেন নিজে হাতে। এবছর দেবীর আরাধনার মধ্যেই ভাবে বিভোর হয়ে পড়েন এই তৃণমূল সাংসদ। এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কার্যত কেঁদে মায়ের মুর্তি জড়িয়ে ধরে কেঁদে ভাসান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই দুর্লভ দৃশ্য বন্দি হয়েছে বাঁকুড়া২৪X৭ এর ক্যামেরায়।সাংসদ হলেও একেবারে পেশাদারি পুরোহিতের মতো সমান দক্ষতায় পুজো সারেন কল্যাণ বাবু।মন্ত্র উচ্চারণ থেকে আরতি সবই সারেন নৈপুণ্যের সাথে। তার এই পুজো দেখতে দলীয় কর্মী,সমর্থক ও নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এদিন।

হুগলীর শ্রীরামপুরের সাংসদ হলেও কল্যাণ বাবু বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র। বাঁকুড়া শহরের দোলতলা লাগোয়া মোলডুবকায় তার পৈতৃক বাড়ি। প্রতি বছর তিনি তাঁর পারিবারিক কালী মন্দিরে নিযে পুজো সারেন।সাথে সহযোগী হিসেবে থাকেন কুল পুরোহিত পরিবারের একজন। এবার পুজো করতে,করতে তিনি ভাবে বিভোর হয়ে অঝোরে মায়ের মুর্তি জড়িয়ে কাঁদতে থাকেন।তবে তার এমন কান্নার ঘটনা টের পাওয়া গিয়েছিল এবছরের দুর্গাপুজোতেও।শ্রীরামপুরে মহাঅষ্টমীর সন্ধি পুজোর সময় তিনি কেঁদে ভাসিয়েছিলেন।তিনি আরতি চলাকালীন "শরণাগত দিনার্ত পরিত্রায়ণ পরায়ণে সর্বস্বার্থে হরে দেবী নারায়ণী নমস্তুতে" - এই মন্ত্র উচ্চারণ করতে,করতেই হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেছিলেন এই দুঁদে আইনজীবী।

এবার নিজের পারিবারিক কালী পুজোতেও একই কান্ড করে বসেন তিনি।আর তার এই কান্না নিয়ে নেট দুনিয়ায় চর্চাও তুঙ্গে।পরে কল্যাণ বাবু জানান মায়ের কাছে কেঁদে প্রার্থনা করেছেন যেন লড়াই করার শক্তি যোগান তিনি।পাশাপাশি,তিনি বিজেপিকেও একহাত নিয়ে বলেন,একবার যখন রক্ত ঝড়েছে, লড়াই তখন চলবে। গান্ধীজির হত্যাকারীর সমর্থনকারীদের সরকার চলছে। তাঁদের কাছ থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শিখব না। প্রসঙ্গত, কদিন আগেই সংসদে যৌথ কমিটির বৈঠকে কাঁচের বোতল ভেঙ্গে হাতে গুরুতর আঘাত পান।তার হাত থেকে রক্ত ঝরতে থাকে।সেই রক্ত ঝরার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে আক্রমণ শানান এই তৃণমূল সাংসদ।

👁️‍দেখুন🎦ভিডিও। 👇


Next Story