রথে শহর বাঁকুড়ায় মায়াপুরের আবহ,এই বছর থেকেই শুরু হল ইসকনের রথযাত্রা,নামল মানুষের ঢল।
এই রথ তৈরি করেছেন পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ যারা তৈরি করেন সেই কারিগরেরা। রথের উচ্চতা প্রায় ২৬ ফুট। সারা বাঁকুড়া শহর পরিক্রমা করে এই রথ রাজগ্রামে মাসির বাড়িতে পৌঁছবে। সেখানে আগামী সাতদিন জগন্নাথ দেবকে ৫৬ ভোগ নিবেদন সহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুচিন্ডা উৎসব পালিত হবে।
বাঁকুড়া২৪X৭প্রতিবেদন : এই প্রথম শহর বাঁকুড়ার মানুষ দিনের আলোয় রথযাত্রা উপভোগের সুযোগ পেলেন।এতদিন ধরে সন্ধ্যেতেই রথের মেলার প্রথা চলে আসছে শহরে।এবছর সকালে রথযাত্রার সূচন হল।সৌজন্যে ইসকন। বাঁকুড়া শহরের লালবাজার শ্রী,শ্রী হরেকৃষ্ণ নাম হট্ট সংঘের উদ্যোগে মায়াপুরের ইসকনের রথযাত্রার আদলে গড়ে তোলা রথের চাকা গড়াল এদিন। রথের দড়িতে টান দিয়ে এই রথযাত্রার শুভ সূচনা করেন হরেকৃষ্ণ নাম হট্ট সংঘের ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রচারক এবং ইসকন মায়াপুর নাম হট্টের পক্ষে শ্রীবাস চরণ দাস ব্রহ্মচারী।
এছাড়া বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। পান্ডু বিজয় উৎসব শেষে রথের দড়িতে টান দেওয়ার সাথে,সাথে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয়ে যায়। এই রথ তৈরি করেছেন পুরীর জগন্নাথ দেবের রথ যারা তৈরি করেন সেই কারিগরেরা। রথের উচ্চতা প্রায় ২৬ ফুট। সারা বাঁকুড়া শহর পরিক্রমা করে এই রথ রাজগ্রামে মাসির বাড়িতে পৌঁছবে। সেখানে আগামী সাতদিন জগন্নাথ দেবকে ৫৬ ভোগ নিবেদন সহ নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গুচিন্ডা উৎসব পালিত হবে।উলটো রথে মাসির বাড়ি থেকে ফিরে আসবেন জগন্নাথ দেব।
এই রথযাত্রা কে কেন্দ্র করে প্রচুর ধর্ম প্রাণ মানুষের ঢল নামে। প্রথম বছরেই প্রচুর মানুষের সমাগম ইসকনের রথয়াত্রাকে অন্যমাত্রা দিয়েছে। মানুষের এই অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়েছেন বাঁকুড়া নাম হট্ট সংঘের পক্ষে গুরু গৌর সুন্দর দাস।এদিকে,বাঁকুড়াবাসীরাও দিনের বেলায় রথযাত্রা উপভোগ করার সুযোগ মেলায় বেজায় খুশী। পাশাপাশি,বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদারও উৎফুল্ল শহরে ইসকনের রথযাত্রার সুচনা হওয়ায়।এদিন সকালে শহরের চিত্রটা আমুল বদলে যায়। জয় জগন্নাথ ধ্বনি আর মায়াপুরের রথের আবহ সৃষ্টি হয় সারা শহর জুড়ে। বাঁকুড়ায় ইসকনের রথযাত্রার সূচনা দেখতে উপচে পড়ে জনতার ঢলও।
👁️🗨️দেখুন 🎦ভিডিও। 👇