শহর বাঁকুড়া

বাঁকুড়া শহরেই রয়েছে বিপ্লবীদের শক্তিপীঠ,বিস্তারিত জানতে দেখে নিন এই বিশেষ প্রতিবেদন।

বৈপ্লবিক বাড়ি ও বড়ো মায়ের মন্দির ফি বছর কালীপুজো এলেই বিপ্লবীদের শক্তি সাধনার ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়। বড়ো কালী মন্দিরের বর্তমান পুজারী ভৈরবনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রপিতামহ কমলাকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেও সেই সময় বিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন স্বাধীনতার লড়াইয়ে।আর সেই সুত্রেই কালীমন্দিরে বিপ্লবীদের আনাগোনা ছিল।এবং তারা শক্তির আরাধবায় ব্রতী হতেন এই মন্দিরে।

বাঁকুড়া শহরেই রয়েছে বিপ্লবীদের শক্তিপীঠ,বিস্তারিত জানতে দেখে নিন এই বিশেষ প্রতিবেদন।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : এই মন্দিরের ইতিহাস প্রায় সাড়ে তিনশো বছরেরও প্রাচীন। সেই সময় রঘু ডাকাত প্রচলন করেন এই কালীপুজো। যা শহরের বড়ো কালী নামে পরিচিত। আর এই মন্দির সূত্রেই এলাকার নাম বড়ো কালীতলা।রঘু ডাকাতের প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে পুরোহিতের দায়িত্ব ভার পেয়েছিলেন চট্টোপাধ্যায় পরিবার।রঘু ডাকাতের অবর্তমানে এই পুরোহিত পরিবারের ওপরই পুজোর ভার বর্তায়।সেই থেকে বংশানুক্রমে এই পুজো তারা চালিয়ে আসছেন।শহরের বড়ো কালী মন্দিরের সাথে যোগ রয়েছে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের।বড়ো কালী মন্দিরের অদুরেই ছিল বিপ্লবীদের গুপ্ত আখড়া।

যা জরাজীর্ণ অবস্থায় ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে আজও। একদা বিপ্লবীদের আখড়া এই বাড়িটি পরিচিত বৈপ্লবিক বাড়ি নামে।বাড়ির দেওয়ালে এই নাম লেখাও আছে। অনুশীলন সমিতির সদস্য থেকে সশস্ত্র বিপ্লবীদের গোপন ঘাটি ছিল এই বাড়ি।স্বাধীনতা সংগ্রামী গোবিন্দ প্রসাদ সিংহেরও নিত্য যাতায়াত ছিল এই বাড়ীটিতে।বাড়ির সামনেই রয়েছে বড়ো মা কালীর মন্দির।এই মন্দিরে বিপ্লবীরা গীতা পাঠ,ধ্যাণ করার পাশাপাশি,অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নিতেন।করতেন শক্তির আরাধনাও। কালীপুজোয় তারা সকলে মিলিত হতেন এই মন্দিরে।চলত অস্ত্র পুজোর মধ্য দিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি।

শহরের মুখোপাধ্যায় পরিবারের কর্তারা এই বাড়ীটি বিপ্লবীদের আস্তানার জন্য স্বেচ্ছায় ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এই পরিবারের সদস্য ধরণীধর মুখোপাধ্যায় নিজেও বিপ্লবীদের সাথে দেশের সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন। এখনও এই বৈপ্লবিক বাড়ি ও বড়ো মায়ের মন্দির ফি বছর কালীপুজো এলেই বিপ্লবীদের শক্তি সাধনার ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়। বড়ো কালী মন্দিরের বর্তমান পুজারী ভৈরবনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রপিতামহ কমলাকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজেও সেই সময় বিপ্লবীদের সাথে যোগ দেন স্বাধীনতার লড়াইয়ে।আর সেই সুত্রেই কালীমন্দিরে বিপ্লবীদের আনাগোনা ছিল।

এবং তারা শক্তির আরাধবায় ব্রতী হতেন এই মন্দিরেই।কথিত আছে,শহরের এই বড়ো মা খুবই জাগ্রত। অমানিশায় মা স্বয়ং মন্দির ছেড়ে মন্দিরের প্রাঙ্গণে পরিভ্রমণ করেন। মাকে ভক্তি ভরে ডাকলে ভক্তের মনস্কামনা পুরণ করেন বড়াকালী। বিপদে,আপদে মাকে ডাকলে সুরাহাও মেলে।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇



Next Story