শহর বাঁকুড়া

জলাশয়ে ভেলায় ভাসলেন রাধা- মাধব,প্রায় ২০০ বছরের রীতি মেনে কালিয়া দমন উৎসবে মাতোয়ারা জগদল্লা।

রাধামাধব দেবোত্তর কমিটির পক্ষ থেকে প্রদ্যুৎ চট্টরাজ জানান,এক সময় এই কালিয়া দমন উৎসবে জৌলুশ ছিল নজর কাড়া।বর্তমানে তাতে খানিক ভাটা পড়েছে ঠিকই,তবুও প্রায় ২০০ বছর ধরে এই উৎসব নিষ্ঠার সাথে পালন করা আসছেন গ্রামের মানুষ।

জলাশয়ে ভেলায় ভাসলেন রাধা- মাধব,প্রায় ২০০ বছরের রীতি মেনে কালিয়া দমন উৎসবে মাতোয়ারা জগদল্লা।
X

বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশী অর্থাৎ অঘোর চতুর্দশী তিথিতে প্রায় ২০০ বছরেরও বেশী সময় ধরে কালিয়া দমন উৎসব পালিত হয় আসছে বাঁকুড়ার এক নান্বার ব্লকের জগদল্লা গ্রামে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের যমুনা নদীতে কালিয়া নাগের দমনকেই এই উৎসবের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়ে থাকে। এই গ্রামের মন্দিরে বিরাজ করেন রাধামাধব। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীর দিন এই রাধামাধব বিগ্রহ গ্রামের বিশাল জলাশয়ে ভেলায় চাপিয়ে পরিভ্রমণের রীতি চলে আসছে যুগ,যুগ ধরে। খোল- করতাল সহযোগে হরিনাম সংকীর্তনের মধ্য দিয়ে মাধব রুপী ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বিগ্রহের মাথায় ছাতা ধরে পুকুরের একটি ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

তারপর ভেলার ওপর চৌদলে চাপানো হয়।অন্যদিকে,পুকুরের অন্যপ্রান্তের আর এক ঘাটে, একই ভাবে ভেলার চৌদলে বসানো হয় রাধাকে। এরপর রাধা ও মাধব একসাথে ভেলায় চড়ে জল বিহার করেন গ্রামের এই জলাশয়ে। আসলে গ্রামের এই জলাশয়কে যমুনা নদীর প্রতীকী হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। কালিয়া দমনের ঘটনাকে এই উৎসবের মাধ্য দিয়ে স্মরণ করেন গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা। জল বিহারের পর বিগ্রহ চৌদলে চাপিয়ে কাঁধে করে ফের মন্দিরে প্রবেশ করানো হয়।এবং তারপর শুরু হয় রাধামাধবের আরাধনা। এই অভিনব কালিয়া দমন উৎসব দেখতে ভীড়ও উপচে পড়ে জলাশয়ের পাড়ে ।

রাধামাধব দেবোত্তর কমিটির পক্ষ থেকে প্রদ্যুৎ চট্টরাজ জানান,এক সময় এই কালিয়া দমন উৎসবে জৌলুশ ছিল নজর কাড়া।বর্তমানে তাতে খানিক ভাটা পড়েছে ঠিকই,তবুও প্রায় ২০০ বছর ধরে এই উৎসব নিষ্ঠার সাথে পালন করা আসছেন গ্রামের মানুষ।এই কালিয়া দমন উৎসবে গ্রামের মানুষ রাধামাধবের আরাধনায় ব্রতী হওয়ার পাশাপাশি, কামনা করেন এই কালিয়া নাগরূপী।যা কিছু অশুভ শক্তি,তার বিনাশ ঘটুক চিরতরে।

👁️‍🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇

Next Story