চার অভিযুক্তকে হেপাজতে পেয়ে নতুনচটির জোড়া খুনের পুনঃনির্মাণ করাল পুলিশ।
মুল অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস, তার স্ত্রী নমিতা রুইদাস এবং দুই ছেলে মহেশ্বর ও বিশ্বেশ্বর কে দিয়ে খুনের ঘটনার পুন: নির্মান করাল পুলিশ। এদিন বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় এই চার অভিযুক্তকে নতুনচটি নিয়ে আসে।এবং মথুর বাবু,তার ছেলে এবং স্ত্রী -এই তিনজনের খড়ের ড্যামি তৈরি করা হয়।সেই ড্যামির ওপর অভিযুক্তরা ওই দিনের পুরো হামলার ঘটনার পুন: নির্মান করে দেখায়।
বাঁকুড়া২৪x৭প্রতিবেদন : বাঁকুড়া শহরের নতুনচটির অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মথুর মোহন দত্ত ও তার ছেলে শ্রীধর দত্তের খুনের ঘটনায় ধৃত মুল অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস, তার স্ত্রী নমিতা রুইদাস এবং দুই ছেলে মহেশ্বর ও বিশ্বেশ্বর কে দিয়ে খুনের ঘটনার পুন: নির্মান করাল পুলিশ। এদিন বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ কড়া নিরাপত্তায় এই চার অভিযুক্তকে নতুনচটি নিয়ে আসে।এবং মথুর বাবু,তার ছেলে এবং স্ত্রী -এই তিনজনের খড়ের ড্যামি তৈরিও করা হয়।সেই ড্যামির ওপর অভিযুক্তরা ওই দিনের পুরো হামলার ঘটনার পুন: নির্মান করে দেখায়। কোথা থেকে কিভাবে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছিল তা খোলসা করে।
মুল অভিযুক্ত পিন্টু রুইদাস ও বাকির খুনের ঘটনায় কে,কি ভুমিকা নিয়েছিলেন সেদিন, তা পুন:নির্মান করে দেখান পুলিশকে।প্রসঙ্গত,এই চার অভিযুক্তই এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।তদন্তের স্বার্থে পুলিশ অভিযুক্তদের দিয়ে পুরো ঘটনার পুন:নির্মান করিয়ে কেস ডাইরি সাজানোর কৌশল নিয়েছে।এমনকি পুরো পুন:নির্মান প্রক্রিয়া ক্যামেরা বন্দিও করা হয়েছে বলে জানান,জেলা পুলিশের ডিএসপি ( আইন ও শৃংখলা) সুপ্রকাশ দাস।প্রসঙ্গত, গত রবিবার সন্ধ্যে বেলায় পিন্টু রুইদাস সহ বাকি অভিযুক্তরা মথুর বাবুর বাড়িতে চড়াও হয়ে আক্রমণ চালায়।ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারেন মথুর বাবু ও মথুর বাবুর ছেলেকে।
এমনকি, মথুর বাবুর স্ত্রী মল্লিকা দেবীও আক্রান্ত হন রুইদাস পরিবারের হাতে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।রাতের দিকে মথুর বাবু ও তার ছেলে মারা যান৷ যদিও স্ত্রী মল্লিকা দেবী প্রাণে বেঁচে যান। তবে, এখনও বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।মথুর বাবুর সাথে জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল প্রতিবেশী পিন্টু রুইদাসের।এবং ওই বিতর্কিত জায়গার ওপর পুরসভার আবাস যোজনার বাড়ি বানাচ্ছিলেন পিন্টু রুইদাস। এই ঘটনার বিচার চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন মথুরবাবু।
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট পিন্টু রুইদাসের ওই অবৈধ নির্মান ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়।সেই রাগেই মথুর বাবু ও তার স্ত্রী এবং ছেলের ওপর পিন্টু সপরিবারে হামলা চালায়। এবং খুনের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে অভিযুক্ত চার জনকে গ্রেপ্তার করে।এবং আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের জন্য হেফাজতে পায় পুলিশ। পুলিশের হেফাজতে থাকাকালীন আজ বিকেলে, এই মামলার তদন্তের স্বার্থে খুনের ঘটনার পুন:নির্মান করাল পুলিশ। আর এই পুন: নির্মাণ দেখতে নতুনচটিতে উৎসাহী জনতার ভীড় ছিল উপচে পড়া। সেই ভীর সামাল দিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় পুলিশকেও।
পুন: নির্মান পর্ব শেষে কড়া নিরাপত্তায় চার অভিযুক্তকে ফের বাঁকুড়া সদর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।দে
👁️🗨️দেখুন🎦ভিডিও। 👇